নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দ্রকোনাঃ স্কুলে চোরেদের তাণ্ডব,আলমারি ভেঙে লন্ডভন্ড কাগজপত্র, ভাঙ্গা হল তিনটি আলমারি। চুরি হল মিড ডে মিলের সমস্ত সরঞ্জাম, এমনকি রান্না করার ওভেনও। এমন চুরির ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার মানুষজন। স্কুলে চুরির জেরে বন্ধ মিডডে মিলের রান্না। রান্না না করেই ফিরতে হয় রাঁধুনিদের আর স্কুলে দুপুরের খাবার না খেয়েই ফিরতে হল স্কুল পড়ুয়াদের।
এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচামি নিত্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, অন্যান্য দিনের মতো আজ স্কুলে এসে শিক্ষকরা দেখেন স্কুলের সমস্ত গেটের তালা ভাঙ্গা। অফিস রুমে তিনটি আলমারির তালা ভেঙে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে কাগজপত্র। মিড ডে মিলের রান্না করার চাল, রান্নার সরঞ্জাম সমস্ত কিছু চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে চোর। ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুল চত্বরে জড়ো হয়েছে এলাকার মানুষজন। স্কুলে এই ধরনের চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। স্কুলের অফিস রুম, কিচেন রুম-স্টোর রুম সহ প্রতিটি শ্রেণীকক্ষের তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এতেই স্পষ্ট গতকাল রাতভর স্কুলে রীতিমতো তান্ডব চালিয়ে লুটপাট করে মিডডে মিলের রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস সিলিন্ডার বাদে ওভেন থেকে বাসনপত্র সহ চাল মশলা যাবতীয় লুট করে নিয়ে গিয়েছে চোরের দল। ফলে বুধবার স্কুলে এসেও ৩০ জন পড়ুয়া দুপুরের খাবার না খেয়েই ফিরতে হয়েছে।
রাঁধুনিরা স্কুলে আসলেও তারা জানান স্কুলে চুরির জন্য এবং বিশেষ করে মিড ডে মিলের যাবতীয় কিছু চুরি হওয়ায় তারা বাড়ি ফিরে যান। চুরির খবর পেয়ে স্কুলে যান ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশরাফুল মল্লিক। তবে ভগবন্তপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে স্কুলের মোট ৩০ জন স্কুল পড়ুয়ার জন্য আজ দুপুরে দোকান থেকে টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উপপ্রধান। এলাকার মানুষেরা বলছেন দ্রুত মিডডে মিলের সমস্ত কিছু সরঞ্জাম এনে আগামী দিন থেকে মিড ডে মিলের রান্নার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন নাহলে স্কুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পড়ুয়াদের মিডডে মিলের খাবার বন্ধ হয়ে পড়বে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান চুরির বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। মিডডে মিল কাল থেকে যাতে চালু করা যায় সেজন্য চুরি হওয়া জিনিসপত্র নতুন করে যাতে পায় স্কুল তার আবেদনও করা হয়েছে। এখন দেখার চোরের চুরি করা মিডডে মিলের জিনিসপত্র কত দ্রুত স্কুলকে ব্যবস্থা করে দিয়ে পড়ুয়াদের মিডডে মিল পুনরায় চালু করায় তৎপর হয় প্রশাসন।