নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ সাত সকালে এলাকায় ঘটে গেল এক অঘটন ! ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায়। চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গল থেকে দুই যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদেহের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙ্গা মোবাইলের টুকরো। জানা গিয়েছে যে, চুড়িদারের একটি ওড়নার মধ্যে দুইজনকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয় মানুষজনেরা। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় চন্দ্রকোনা থানায়।
জানা গিয়েছে ওই দুইজনের মধ্যে একজনের নাম সুমি মুর্মু (২৫) এবং অপর মহিলার নাম রচনা মান্ডি (২৩)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দ্রকোনা থানার রামগড়ের বাসিন্দা সুমি মুর্মু ও অপরজন রচনা মান্ডির বাড়ি গোঘাট থানার কুমারদিঘিতে। এই দুই যুবতীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় মানুষজনেরা। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে তা পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। যদিও চন্দ্রকোনায় বাড়ি এক মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান যে ওই দুই যুবতীকে কেউ মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়।
চন্দ্রকোনার রামগড়ের বাসিন্দা মৃত সুমি মুর্মুর দিদি লক্ষ্মী হেমব্রমের দাবি, তাদের এক বোনের বিয়ে হয়েছে গোঘাট থানার কুমারদিঘি এলাকায়। মৃত সুমির কুমারদিঘিতে বোনের বাড়ি যাতায়াত ছিল আর সেই সূত্রে আলাপ হয় অপর মৃত যুবতী রচনা মান্ডির সাথে। আর এখান থেকেই সুমি ও রচনার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। রচনা মান্ডিকে একাধিক বার চন্দ্রকোনায় সুমির বাড়িতে আসতে দেখেছে তার পরিবারের সদস্যরা এমনটাই জানান তারা। মৃত সুমির দিদি লক্ষ্মী হেমব্রমের দাবি, তার বোন ও রচনা মান্ডি দু'জনে মহিলা হওয়া সত্বেও বিয়ে করে নেয়। আর এই বিষয়টি তাদের উভয় পরিবারই মেনে নেয়নি বলে দাবি তার। তবে তার বোন সুমি আত্মহত্যা করেনি হয়তো তাদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি।
গোটা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা অবধি কোনো বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেনা পুলিশ।গোটা ঘটনার তদন্তে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। তবে মৃত যুবতীর পরিবারের দাবি অনুযায়ী দুজন দুজনকে বিয়ে করার পরই দুই পরিবারের সমস্যা তৈরি হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি দুই যুবতীর সমকামী বিবাহের সম্পর্কের কারণেই এই অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ? তদন্তে নেমেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।