নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৫ জানুয়ারি যখন শেখ শাহজাহানের বাড়ির তল্লাশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল একাধিক, সেই সময় ইডির তরফে জবাব দেওয়ার মত সেরকম কোনও প্রমাণ ছিল না। আজ সেই সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েই ময়দানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ব্যবস্থা যে একা ইডি করেছে তা নয়, আজ সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও।
এদিন সকাল ৭টা নাগাদ প্রথম শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। সেখানে আগের থেকেই উপস্থিত ছিলেন ন্যাজাট থানার দু’জন পুলিশ অফিসার। ইডির তরফে জানানো হয়, শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। তখন পুলিশের তরফে জানতে চাওয়া হয়, কোনও লিখিত অনুমতি পত্র রয়েছে কিনা। ইডি মৌখিক ভাবে জানায় আছে। তখন তা দেখতে চায় পুলিশ। এমনকি অনুমতি পত্রে কোথায় বলা আছে বাড়ির ভিতরে তল্লাশি অভিযান চলবে, তাও জানতে চাওয়া হয়। তা ইডির আধিকারিক দেখিয়ে বলে যে সমস্ত তল্লাশি অভিযানটি ভিডিওগ্রাফি করা হবে। তখন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক বলেন, সমগ্র ঘটনার সাক্ষী বা আই উইটনেস প্রয়োজন। ইডির তরফে জানানো হয়, তাঁদের কাছে সাক্ষী রয়েছে। কিন্তু তা মান্যতা দেয়নি পুলিশ। গ্রামের স্থানীয় ২ বাসিন্দাকে সাক্ষী করা হয় সমগ্র ঘটনার। তাঁদেরকে দিয়ে সেই অনুমতি পত্রে স্বাক্ষরও করানো হয়। এই ভাবেই পেরিয়ে যায় ৪৫ মিনিট।
এই সকল প্রক্রিয়ার মধ্যে ইডির সাথে হাজির ছিল চাবিওয়ালাও। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে চাবিওয়ালা দিয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়ির তালা ভাঙানো হয়। এখানেই যে গল্প শেষ হচ্ছে তা কিন্তু নয়। এরপর বাড়ির তালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ইডির ১১ জন আধিকারিক। যার মধ্যে ছিলেন ভিডিওগ্রাফার নিজেও। একই সাথে এই ১১ জনের সাথে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন একজন মহিলা পুলিশ অফিসার।
এরপরের প্রক্রিয়া কার্যত পালন করে পুলিশ। প্রত্যেক ইডি অফিসারের ব্যাগ সার্চ করে দেখেন সেই মহিলা পুলিশ অফিসার। কীভাবে তারা তল্লাশি প্রক্রিয়া চালাবেন, জানতে চাওয়া হয় তাঁদের কাছ থেকে। এমনকি ইডি অফিসারদের মোজা পর্যন্ত চেক করে দেখা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই আরও ২ জন ইডির অফিসার প্রিন্টার হাতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে প্রবেশ করেন। বর্তমানে ভিডিওগ্রাফার সহ মোট ১৩ জন চালাচ্ছেন শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। ভিতর থেকে তালা দিয়েছে ইডির আধিকারিকরা। আর বাইরে থেকে সেই সমগ্র কিছুর ভিডিও করছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
রেশন দুর্নীতির মামলায় এমনকি অন্য যেকোনও কোনও দুর্নীতি মামলায় এতোটা তৎপরতা কখনোই দেখা যায়নি। এই দৃশ্য যেন বিরলের মধ্যে বিরলতম!