নিজস্ব সংবাদদাতা: ভেঙে পড়ছে ছাদের চাঙর, স্কুলের পঠন পাঠন অন্যত্র করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। অফলাইন ও অনলাইনে পঠন পাঠন চালাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পড়ুয়াদের বিপদের কথা ভেবে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা। এখন এমনই অবস্থা খড়ার সূর্যকুমার হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়ের।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পৌর এলাকার হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়ের এহেন অব্যবস্থায় বেজায় সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারা। কয়েকদিন আগে স্কুল বিল্ডিং এর সিঁড়ির ছাদের চাঙর ভেঙে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান স্কুল পরিদর্শক সহ মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভার আধিকারিকেরা। বিল্ডিং এর সমস্ত দিক খতিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বিল্ডিং-এ স্কুল চালানো কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুন বিল্ডিং এর কয়েকটি ক্লাস এবং বাকি কয়েকটি ক্লাসকে অনলাইন করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতেই সমস্যায় পড়ে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের দাবি স্কুল বিল্ডিং বেহাল থাকায় অভিভাবকেরা স্কুলে যেতে দিচ্ছে না। অপরদিকে অনলাইন ক্লাস করার মত অনেক পড়ুয়ার সামর্থ্য নেই তাই অন্যের বাড়িতে গিয়ে অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছে তাদেরকে। ফলে সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারা।
অভিভাবকদের দাবি ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে তাই মেয়েদের স্কুলে যেতে দিচ্ছি না। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রেশমি চক্রবর্তী বলেন, “স্কুলের নতুন বিল্ডিং এর তিনটি ক্লাস চলছে। বাকি অনলাইন ক্লাস চলছে। অনলাইন ক্লাসের জন্য কিছু পড়ুয়ার সমস্যা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি নতুন বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হলে সমস্যা মিটবে বলে জানাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঘাটাল মহকুমা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “স্কুলের বিল্ডিং এর অবস্থা খুবই খারাপ। তাই শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাশের একটি বয়েজ স্কুলে মর্নিং স্কুল করার আবেদন পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুল বিল্ডিং তৈরি করারও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত সমস্যা মিটবে”। আপাতত আশা বুকে নিয়েই স্কুলে ফেরার অপেক্ষা করছে শতাধিক পড়ুয়া।