নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রতন টাটার প্রয়াণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, "টাটা আমাদের দেশের অন্যতম নবরত্ন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তার সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ।রতন টাটা খুব সহজ, সাধারণ এবং খুব স্নেহশীল ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তার চিন্তা, পরামর্শ, দিকনির্দেশনা আমাদের সবার, দেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই রতন টাটাজিকে মিস করব। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে রতন টাটাজি যে মূল্যবোধ এবং চিন্তাভাবনা বহন করেছিলেন, আমাদের দেশের উন্নয়নে সেই চিন্তাভাবনা যেন প্রাসঙ্গিক থাকে।"
প্রসঙ্গত, টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা দেশের অন্যতম প্রথম সারির শিল্পপতি রতন টাটার জীবনাবসান। অসুস্থ হয়ে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বুধবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বয়স বাড়লেও কাজের জগতে সক্রিয় ছিলেন রতন টাটা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছিলেন সক্রিয়। টাটা সনস সংস্থাকে যেভাবে তিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, সংস্থার যা কর্মকাণ্ড, তা কার্যত এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারতের শিল্পের জগতে। গত ৬ অক্টোবর মধ্যরাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে। অসুস্থ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর দেশ জুড়ে যখন উদ্বেগ বাড়ে, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে রতন টাটার বার্তা। তিনি জানান, তিনি সুস্থই আছে। তাঁকে নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু বুধবার ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তাঁর। তখনই জানা যায়, অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর ফেরা হল না কিংবদন্তী শিল্পপতির। রাতেই এল তাঁর মৃত্যুর খবর।