নিজস্ব সংবাদদাতা: মা কালীর উৎপত্তিতে পৌরাণিক ব্যাখা পাওয়া যায়। পৌরাণিক কাহিনী মতে শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামক দুই দৈত্য সারা পৃথিবী জুড়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তাঁরা স্বর্গলোক ছেড়ে পালিয়ে যান। এই পরিস্থিতিতে দেবরাজ ইন্দ্র স্বর্গলোক ফিরে পাওয়ার জন্য মা মহামায়ার পুজো করেন। তখন দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাঁদের কাছে আবির্ভূত হন।
কথিত রয়েছে, মা মহামায়া সরাসরি আবির্ভূত হন না। দেবীর শরীর কোষ থেকে অন্য এক দেবী সৃষ্টি হয় যা কৌশিকী নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত দেবী কৌশিকী। মা মহামায়ার দেবী নিঃসৃত বলে কালো বা কৃষ্ণ বর্ণের। এই রূপকেই দেবীর আদিরূপ ধরা হয়। পরে দেবী কালীর বিভিন্ন রূপের পরিবর্তন হয়েছে। কালী পূজার বিভিন্ন পদ্ধতি তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মধ্যরাত্রে অর্থাত্ অমাবস্যার রাত্রে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে কালী পূজা করা হয়। আগেকার দিনে, দেবীকে সন্তুষ্ট করতে পশু রক্ত বা পশু বলি করে উত্সর্গ করা হয়। আগে প্রায় প্রতি কালীপুজোতে বলি দেওয়া হলেও এখন সেই প্রথা উঠে গেছে।