নিজস্ব সংবাদদাতা: শোনা যায়, জরুরি অবস্থার সময়ে নাকি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শাড়ি পরে, ঘোমটা টেনে বাগবাজারের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দলের চিঠি বিলি করতেন।
আবার, সিঙ্গুরে ১৪৪ ধারা জারি থাকাকালীন আদুল গায়ে, গামছা পরে সেখানে ঢুকেছিলেন তত্কালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য ছদ্মবেশ নিয়েছেন এমন অনেক উদাহরণই পাওয়া যাবে।
এই পথ অবলম্বন করেই আজ সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন মিনাক্ষী-সহ সিপিএমের যুব নেতানেত্রীরা। পুলিশ আটকাবার অনেক আগেই অধিকাংশ কাজ সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু এর নেপথ্যে কার পরিকল্পনা?
সূত্র মারফত জানা গেছে যে, রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দিন কয়েক আগে মিনাক্ষী এবং যুব সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহাকে ডেকে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, ''আমি তোমাদের সন্দেশখালিতে দেখতে চাই। ধামাখালিতে আটকে পড়লে হবে না। সন্দেশখালিতেই পৌঁছতে হবে!''
ছদ্মবেশ ধরতেই শাড়ি পরে শনিবার সন্দেশখালি গেলেন মিনাক্ষী। ঘুরলেন গ্রামে গ্রামে। পুলিশ চিনে ফেলতে পারার আশঙ্কায় তাঁকে বলা হয়, শাড়ি পরে, মাথায় হিজাব টেনে যেতে। তাই করেন মিনাক্ষী।