নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কর্ণাটকের মাণ্ড্য জেলার কেরাগোডু গ্রামে সোমবার, ২৯ জানুয়ারি উত্তেজনা অব্যাহত ছিল, যখন বিজেপি এবং জেডি (এস) ১০৮ ফুট উঁচু পতাকাদণ্ড থেকে জাতীয় পতাকা দিয়ে হনুমান পতাকা প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছিল।
তেরঙ্গা বা কর্ণাটকের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হলেও, হনুমানের ছবি এবং "জয় শ্রীরাম" স্লোগান সহ একটি ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। আধিকারিকরা ধর্মীয় গেরুয়া পতাকার পরিবর্তে তেরঙ্গা পতাকা লাগিয়ে দেন, যার ফলে গ্রামবাসী এবং বিরোধী দল বিজেপি ও জেডি (এস) থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
পুলিশ আধিকারিক-সহ মাণ্ড্য মহকুমার আধিকারিকরা যখন গ্রামে যান, তখন দেখা যায় যে পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিকের (পিডিও) কর্তব্যে গাফিলতিই গ্রামে বিক্ষোভের প্রত্যক্ষ কারণ।
সরকারি নিয়ম ভাঙার অভিযোগে কেরাগোডু গ্রাম পঞ্চায়েতের পিডিও জীবন বিএমকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন মাণ্ড্য জেলা পঞ্চায়েতের সিইও শেখ তানভীর আসিফ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) পাঁচটি কারণ দেখিয়ে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
সাসপেনশন অর্ডারে আসিফ বলেন, 'গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পত্তি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি বাধ্যতামূলক। তবে কর্ণাটক গ্রাম স্বরাজ ও পঞ্চায়েত রাজ আইন, ১৯৯৩ লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যক্তিদের হাতে তুলে দিয়ে কেরাগোডু গ্রামে সংঘর্ষের প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে পিডিওকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।'