নিজস্ব সংবাদদাতা: অত্যাধুনিক মেশিন, টেস্টটিউব, অসংখ্য বিকার, প্রচুর পরিমাণে সলিড ও লিক্যুইড রাসায়নিক! এছাড়াও রয়েছে গ্লাভস, শিল্ড লাগানো সেফটি হেলমেট। একঝলক দেখলে মনে হবে কোনও অত্যাধুনিক গবেষণাগার! কিন্তু শুনলে অবাক হবেন তা কোনও গবেষণাগার নয়, বরঞ্চ বোমা-বিস্ফোরক তৈরি হত এখানেই। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর এমনই খোঁজ মিলছে এবার।
যা জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় ১ কিমি দূরেই রয়েছে কেভিএম ইটভাটা। যে ইটভাটার আড়ালেই রয়েছে এই বাজি কারখানা। যেখানে তাঁবু খাটিয়ে চলত বোমা তৈরির কাজ।
স্থানীয় লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, যে বাজি কারখানায় গতকাল ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে তারই একটি অংশ হল এই তাঁবুর আড়ালে চলা বাজি কারখানা। এখানে যেভাবে কেমিক্যালের স্টক রয়েছে, বিস্ফোরণ স্থলেও ছিল এই সবের ব্যবহার। সেখানেও থাকত সলিড রাসায়নিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই এতো সবকিছু কি জন্যে? আসলে কী তৈরি হত এখানে?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে আরডিএক্স তৈরি হত। ফুলঝুরি বানানোর জন্য এটার দরকার পড়ে না। তবে নিশ্চিত ভাবে বলা মুশকিল, যে এখানে ঠিক কি তৈরি হত। কেননা এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই দ্বিতীয় বাজি কারখানার স্থল থেকে সকল শ্রমিকই পলাতক। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে তারা। তবে তদন্তকারী অফিসারেরা কাজ শুরু করলে হইত একটি নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
যা জানা যাচ্ছে, নারায়ণপুরের ওই ফ্যাক্টরিতে তিনটি পৃথক তাঁবু খাটানো রয়েছে। একটি মেন তাঁবু। যেখানে ল্যাবরেটরির মত সেট আপ, অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি, মেশিন রাখা রয়েছে। তার থেকে কয়েকশো মিটার দূরে আরেকটা তাঁবু। যেখানে লিকুইড রাসায়নিক মজুত করা হত। এর থেকেও কয়েকশো মিটার দূরে বারুদ বা অন্য সলিড বিস্ফোরক তৈরির মশলা মজুত থাকত। স্থানীয়দের দাবি, ভিতরে ঢোকার অনুমতি ছিল না কারও। গেটের সামনে ২৪ ঘন্টাই থাকত কড়া পাহাড়া। শ্রমিকরা আসত মুর্শিদাবাদ থেকে। গতকাল দত্তপুকুরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরই এই তথ্য গুলি সামনে আসছে, যা আরও জোরালো করে তুলছে বিষয়টি।