নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "স্ত্রীকে খুন, শাস্তি জীবনভর
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানা এলাকায় ভাওয়ালপাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত দত্ত, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে মেয়ে রুমার বিয়ে দেন বানারহাটের ৩ নং কলোনির বাসিন্দা সুব্রত পালের সঙ্গে। সুখের হয়নি বিবাহিত জীবন। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবীতে শ্বশুরবাড়ির লোকের অত্যাচার শুরু হয় রুমার উপর।
বেশিদিন চলেনি এই যন্ত্রণা। সে বছরেরই ২০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীকান্তকে ফোন করে সুব্রত জানায়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তার মেয়ে। মৃত্যু হয়েছে শ্বশুরবাড়িতেই। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে অকুস্থল পরিদর্শনে গিয়ে কিন্তু সাব-ইনসপেক্টর রাব্বানী হোসেনের অভিজ্ঞ চোখ বুঝতে পারে, গল্পে গলদ আছে। বিশেষ করে যে ঘরে ঘটনা ঘটেছে, তার অবস্থা দেখে মনে হয় এ আত্মহত্যা নয় আদৌ। ময়নাতদন্তের আগে অটপ্সি সার্জেনের সঙ্গে দেখা করে ঘরের অবস্থার বিশদ বিবরণ দেন রাব্বানী। এবং বলা বাহুল্য, ময়নাতদন্তে প্রমাণিত হয়, প্রথমে গলা টিপে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দেহ। অতি দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত সেরে চার্জশিট দাখিল করেন রাব্বানী। মামলায় অবশেষে রায় বেরিয়েছে সম্প্রতি, স্ত্রীকে খুন করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সুব্রতকে, সঙ্গে আর্থিক জরিমানা।"
স্ত্রীকে খুন, শাস্তি জীবনভর
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানা এলাকায় ভাওয়ালপাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত দত্ত, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে মেয়ে রুমার বিয়ে দেন বানারহাটের ৩ নং কলোনির বাসিন্দা সুব্রত পালের সঙ্গে। ..(১/৫)