দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিকেল হলেই স্যালাইন হাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে সারি দিয়ে বসে রোগীরা।
তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝেই এমনই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ বিদ্যাসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।দুপুরের পর সূর্যের তাপ কাটলে বিকেল হলেই স্যালাইন হাতে রোগীরা বেরিয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে।রোগী থেকে রোগীর পরিজন সকলেরই দাবি, প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারনে হাসপাতালের ভেতরে থাকা যাচ্ছে না, ভেতরে থাকলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা। এরকমই অভিযোগ তাদের।তাই তারা বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসছেন একটু স্বস্তির জন্য। অনেক রোগীর দাবি, বিকাল থেকে রাত ১২ পর্যন্ত এইভাবেই বাইরে বসে কাটাচ্ছেন তারা। রোগীর পরিজনরা বলেন, এই বিষয়ে চিকিৎসক ও কর্তব্যরত নার্সদেরকে জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। কেন বিকেল হলেই স্যালাইন হাতে রোগীদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে, লনে, গাছের তলায় চলে আসতে হচ্ছে? বেশকিছু রোগীর দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতালে পাখা নেই, যেকটি পুরানো পাখা রয়েছে তা এই গরমে কোনো কাজেই লাগছে না। পর্যাপ্ত পাখা না থাকায় বিকেল হওয়ার অপেক্ষায় থাকে রোগীরা, বাইরের বাতাসে দীর্ঘক্ষণ বসে একটু হলেও উপশম হয় বলে দাবি তাদের। হাসপাতালে প্রয়োজন অনুসারে পাখা বাড়ানোর কথা কর্তৃপক্ষকে বলা হয় রোগী ও তাদের পরিজনদের পক্ষ থেকে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় অগত্যা বাইরে চলে আসতে হয় বলে জানান তারা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পাখা ও এ্যাডজাষ্ট ফ্যান রয়েছে বলে জানান ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক সপ্তর্ষি পাল। তবে এবিষয়ে তিনি হাসপাতালের ভিতরে তীব্র গরমের জন্য অবশ্য অন্য সমস্যার কথা শুনিয়েছেন।তিনি বলেন, ''তাপপ্রবাহ দিন দিন বাড়ছে, দ্বিতল ভবনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদের ওপরে কোনো সেড না থাকার কারনে জ্বর বা অন্য কোনো রোগ নিয়ে কেও ভর্তি হলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে রোগীরা।এই তাপপ্রবাহের কারনে শুধু রোগীরা নয় সমস্ত নার্স এবং চিকিৎসকদেরও অসুবিধা হয়। এই বিষয়ে বহুবার মহকুমাশাসক ও বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে যদি একটা সেডের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে রোগীদের এইভাবে বাইরে বেরোতে হবে না এবং আমাদের সকল স্টাফেদের ডিউটি করতে সুবিধা হবে।'' তিনি আরো বলেন, ''প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে সেডের ব্যবস্থা হলে,না হলে ভবিষ্যৎ এ বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।'' তিনি আবারও প্রসাশনিক দপ্তরে আবেদন জানাবেন বলে জানান।