নদীর পাড়ে চলছে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ, প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পোস্টারিং

বর্ষাকালে নদীতে জল বাড়লে নদীর পাড়ে লক্ষ্য করা যায় ঘোগ বা গর্ত যা থেকে জল বেরিয়ে আসে।

author-image
Adrita
New Update
g

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ শিলাবতী নদীর পাড়ে চলছে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। ফলস্বরূপ, গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পোস্টারিং করল এলাকায়।

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুরতপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে যে, সুরতপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে শিলাবতী নদী। সেই নদীর পাড়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকার বাড়ি,তবে কে বা কারা অবৈধভাবে নদীর পাড়ে এই পাকার বাড়ির নির্মাণ করছে তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এলাকার মানুষজন পুরো বিষয়টি স্থানীয় ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের বারবার জানালেও কোন সুরাহা না মেলায় গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পোস্টারিং করল এলাকায়।পোস্টারে লেখা রয়েছে " বারবার প্রশাসনকে জানানোর পরেও কেন অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে প্রশাসন জবাব চাই জবাব দাও। '' 

এলাকার মানুষজনদের অভিযোগ বর্ষাকালে নদীতে জল বাড়লে নদীর পাড়ে লক্ষ্য করা যায় ঘোগ বা গর্ত যা থেকে জল বেরিয়ে আসে। এমনকি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে জল বইতে থাকলে সেই ঘোগ বা গর্ত বরাবর ফাটল নিয়ে বড়সড় বন্যার আশঙ্কা থাকে গোটা এলাকায়। নদীর পাড়ে অবৈধ নির্মাণের ফলে ওই পাড়ে একাধিক ঘোগ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অবৈধভাবে নদীর পাড়ে বাড়ি নির্মাণ হলে বর্ষাকালে অসুবিধায় পড়তে হবে সকলকেই। অবিলম্বে বন্ধ হোক এই অবৈধ বাড়ি নির্মাণ এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দারা।তবে সরকারি জায়গায় অবৈধ নির্মাণকে ঘিরে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।কে বা কারা এই অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে ? কার মদতে চলছে এই বাড়ি নির্মাণ ? প্রশ্ন তুলছে এলাকার মানুষজন।তবে এই বিষয়ে দাসপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র বলেন," আমি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য । '' তবে ঘটনা যাই হোক শিলাবতী নদীর পাড়ে এভাবে এই অবৈধ বাড়ি নির্মাণ কে বা কারা করছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এইরকম অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ চলতে থাকলে আগামী দিনে ফের বর্ষার সময় বানভাসি হতে পারে দাসপুর আশঙ্কা এলাকাবাসীর, এখন দেখার অবৈধ নির্মাণ বন্ধে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়। 

স

স্ব

স