শহীদ মঞ্চটি কিরকম ভাবে সজ্জিত জানেন কি?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বক্তব্য রাখবেন, সেই পোডিয়াম রয়েছে মূল মঞ্চের বাঁ দিক ঘেঁষে। যার উচ্চতা ১২ ফুট। দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট। এছাড়াও রয়েছে মঞ্চের আরও তিনটি ভাগ।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
stage.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয়ের পরে আজ প্রথম সমাবেশ তৃণমূল কংগ্রেসের। ২৪-এর লোকসভার মহাযুদ্ধের আগে আজই শেষ ২১ জুলাই! তাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো কি বার্তা দেন, সেদিকে বাড়তি নজর রাজনৈতিক মহল থেকে তৃণমূল নেতা কর্মীদের।

সেই শহীদ মঞ্চ ঘিরে রয়েছে এলাহি ব্যবস্থা। বিশাল মঞ্চকে ভাগ করা হয়েছে তিনটি ভাগে। প্রথম ভাগের উচ্চতা ১০ ফুট। দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট এবং প্রস্থ ২৮ ফুট। মঞ্চের প্রথম ভাগে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রী ও আমন্ত্রিতরা।

মঞ্চের দ্বিতীয় ভাগের উচ্চতা ১১ ফুট। দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট এবং প্রস্থ ২৮ ফুট। এই মঞ্চে স্বজনহারা পরিবারের সদস্য ও তৃণমূলের সাংসদরা বসবেন।

তৃতীয় ভাগের উচ্চতা ১২ ফুট। দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ২৮ ফুট। এই মঞ্চে বিধায়ক সহ অন্যদের বসার জায়গা। মূল মঞ্চের পাশেই তৈরি হয়েছে চতুর্থ মঞ্চ। সেটি তৃণমূল কাউন্সিলর এবং অন্যান্যদের বসার জায়গা হিসাবে নির্ধারিত। মঞ্চে ওঠার জন্য ৩টি সিঁড়ি রয়েছে। একটি সিঁড়ি ব্যবহার করবেন তৃণমূল নেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি দুটি সিঁড়ি অন্যদের ব্যবহারের জন্যে নির্মিত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বক্তব্য রাখবেন, সেই পোডিয়াম রয়েছে মূল মঞ্চের বাঁ দিক ঘেঁষে। উচ্চতা ১২ ফুট। দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট। আর সেখান থেকেই আপামোড় জনগণের জন্যে বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।  

এই ২১ জুলাইয়ের শুরুয়াতটা হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। সেই সময় প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে ওই দিন মহাকরণ অভিযানের ডাক দেন মমতা। সকাল থেকে মহাকরণ অভিমুখে শহরের পাঁচ দিক থেকে জমায়েত শুরু হয়। পাঁচ দিক থেকেই এগোতে থাকেন যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তায় নামেন খোদ মমতা। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মদন মিত্ররা সেই সময়ও মমতার পাশেই ছিলেন। কিন্তু কিছুদূর এগনোর পরই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তাতেই ধুন্ধুমার বাঁধে। পুলিশের গুলি চলে দিকে দিকে। মৃত্যু হয় কর্মীদের। আর তারপর থেকেই শহীদ স্মরণে পালিত হচ্ছে এই দিন।