হিজবুল্লাহ নেতার মৃত্যু-ভারতের প্রতিবেশী দেশে বিক্ষোভ!

হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহর মৃত্যুতে করাচিতে মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

author-image
Aniruddha Chakraborty
New Update
pakistan.jpg

file pic

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রবিবার পাকিস্তানের করাচিতে মার্কিন কনস্যুলেটের দিকে মিছিল করার সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। জানা গিয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।

মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (এমডব্লিউএম) এর অংশগ্রহণকারীরা এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন।

নাসরুল্লাহ হত্যার পর করাচিসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ করেছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক-ধর্মীয় দল। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের গোলা নিক্ষেপ এবং এমনকি বিমান থেকে গুলি চালানোর মতো ব্যবস্থা নিয়েছিল।

বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) মাচ পাথর ছোড়ার আঘাতে গুরুতর আহত হন এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লিনজার বেসামরিক নাগরিক ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং এই অঞ্চলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নির্ভুল হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন।

নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের আয়াতুল্লাহ সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যারা ইসরাইলকে টার্গেট করবে তাদের 'পরিণতি' ভোগ করতে হবে এবং ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো স্থানই ইসরাইলের নাগালের বাইরে নয়।

নেতানিয়াহু নাসরুল্লাহকে 'ইরানের অশুভ অক্ষের প্রধান ইঞ্জিন' অভিহিত করে বলেন, 'নাসরুল্লাহ শুধু একজন সন্ত্রাসী ছিলেন না, তিনি ছিলেন সন্ত্রাসী। তিনি ছিলেন অক্ষের অক্ষ, ইরানের অশুভ অক্ষের প্রধান ইঞ্জিন। তিনি এবং তার লোকেরা ইস্রায়েলকে ধ্বংস করার পরিকল্পনার স্থপতি ছিলেন। তিনি শুধু ইরান দ্বারা পরিচালিত ছিলেন না, তিনি প্রায়শই ইরান পরিচালনা করেছিলেন।