নিজস্ব সংবাদদাতা: বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সোমবার থেকে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। জেলা প্রশাসনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে জমি জরিপের কাজ। সমীক্ষার কাজ চলার সময় মসজিদ চত্বরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা।
#WATCH | Varanasi, UP: Police team enters Gyanvapi mosque complex, ASI survey begins pic.twitter.com/kAY9CwN0Eq
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 24, 2023
এই বিষয়ে হিন্দুপক্ষের আইনজীবী সুধীর ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, “আজকের দিন আমাদের দিন। সকাল ৭টা থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কতক্ষণ চলবে বলা যাচ্ছে না”। তবে আদালতের এই নির্দেশে খুশি হয়েছেন আবেদনকারীরা।
#WATCH | "Today the Gyanvapi survey will be conducted, it is a good thing for us...the survey will begin at 7 am, can't say how long it will go on...": Sudhir Tripathi, advocate representing Hindu side https://t.co/QgylqUpCC0 pic.twitter.com/MHg9FtrC7O
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 24, 2023
রবিবারই এএসআই-এর একটি দল সমীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে বারাণসীতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত একতি অংশের তরফে জানা গিয়েছে, সমীক্ষা সংক্রান্ত বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একতি আবেদন করেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটির তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
শুক্রবার বারাণসী জেলা আদালত এএসআই-কে জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে বিতর্কিত ওজুখানায় পাওয়া তথাকথিত ‘শিবলিঙ্গ’ এবং সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছিল আদালত। আগামী ৪ অগস্টের মধ্যে সমীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পুরাতাত্ত্বিক পরীক্ষার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল চার হিন্দু মহিলা ভক্তের তরফে।
অন্যদিকে, মসজিদ চত্বরে কোনও রকম সমীক্ষার বিরোধিতা করেছিল ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি’। এ বিষয়ে দু’পক্ষের মতামত শোনার পরে গত ১৪ জুলাই রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন সিনিয়র বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেস।
এর আগে গত মে মাসে হিন্দু মহিলা ভক্তদের তরফে ‘সিল’ করা ওজুখানা এলাকার বাইরে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার’ আবেদন জানানো হয়েছিল। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সেই দাবি মেনে নেন বিচারক বিশ্বেস। এই মামলায় নিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিশেষ কৌঁসুলি রাজেশ মিশ্র শুক্রবার বলেছিলেন, “কোনও হিন্দু মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়া হয়েছে কিনা, তা সমীক্ষা করে দেখবেন আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞরা”। আর সেই মোতাবেকই আজ মসজিদে এলেন এএসআইয়ের সদস্যরা।