নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ শাসক দলের একাংশর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য সদ্য দুর্গাপুর পশ্চিমের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল। নাম না করে রাজ্যের এক মন্ত্রীর উদ্যেশে দুর্গাপুর পশ্চিমের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল বলেন, '' কেন সুপ্রিমোর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি চলে গেলেন, বলেন দাদা ভাইয়ের দল নয় এটা, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, আসলে নগ্ন দলবাজি আর দলে থেকে দলকে লোকসভা নির্বাচনের আগে দুর্বল করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে,দলের সর্বস্তরে তিনি এই অভিযোগ করেছেন, কারণ যাদের সাথে শ্রমিকের একটা বড় অংশ নেই, যদিও বিড়ম্বনা এড়াতে জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অভিজিত ঘটক বলেন, সবাইকে নিয়েই আমরা চলবো, আজ শ্রমিক স্বার্থে তারা কথা বলতে এসেছেন, এর মধ্যে ভুল নেই কিছু। ''
আসলে ঘটনার সূত্রপাত গতকাল বিকালে, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির দোরগোড়ায় থাকা একটি বেসরকারি কারখানা ও রাষ্ট্রয়ত্ত একটি গ্যাস বটলিং প্লান্টের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে যান জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিত ঘটক, শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষিত করা থেকে শুরু করে, নতুন বেতন চুক্তি কার্যকর এই দুটি বিষয় নিয়ে দুই সংস্থার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অভিজিত ঘটক। এই দুটি সংস্থার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন আগে দেখতেন বিশ্বনাথ পারিয়াল।
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সফরকালীন, দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে দুর্গাপুর পশ্চিমের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালকে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব দেন। আর আজ জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিত ঘটক যে দুটি সংস্থার কর্তাদের সাথে কথা বলতে যান সেটি এই বিধানসভার মধ্যেই পড়ে। তাকে আমন্ত্রণ না জানিয়েই কেন জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অভিজিত ঘটক চলে গেলেন। এই নিয়ে আবার কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির।