নিজস্ব সংবাদদাতা: বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেছিলেন এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না ইডির বিরুদ্ধে। আর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা একেবারে দিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। ফের একবার হাইকোর্টে মুখ পুড়ল পুলিশ ও রাজ্যের।
সন্দেশখালির ঘটনায় ন্যাজাট থানা ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছিল। সেখানে চুরি, শ্লীলতাহানির মতও অভিযোগ ছিল ইডির বিরুদ্ধে। এদিন সেই বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি মান্থা। কেননা ইডি তাঁদের হলফনামায় দাবি করেছে, তারা তালা খুলে ঘরে ঢুকতেই পারেননি। কেননা তারা তালা ভাঙ্গতেই পারেননি। তাহলে চুরির অভিযোগ আসছে কোথা থেকে। অন্যদিকে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকশো মহিলা-পুরুষ এসে তাঁদের ওপর চড়াও হয়।
এদিন সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। একই সাথে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব, কেস ডায়েরি তলব করেছেন। রাজ্য কি ব্যবস্থা নিয়েছিল এই এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে, তাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। ২২ জানুয়ারি রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে আজ কার্যত এফআইআর মামলায় চাপে পড়ল রাজ্য পুলিশই।