নিজস্ব সংবাদদাতা: কিছু ঘন্টার অপেক্ষা, আর তারপরই ঘটি-বাঙালের চর্চিত লড়াই শুরু। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফের মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান - ইস্টবেঙ্গল। আজ সেখনেই রয়েছে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। ইতিমধ্যেই উত্তেজনায় ফুটছে দু’দলের সমর্থকেরা। আর এই খেলাকে কেন্দ্র করে যে কোনওরকম বিশৃঙ্খলায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
যা জানা যাচ্ছে, গতকালই এই সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠক সারেন বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসিডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, আজকে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। আর সেখানেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি-র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। খেলা দেখতে মোট ৬২ হাজার ৫০০ দর্শক আসবেন। খেলার নিরাপত্তা এবং যান নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন থাকবেন প্রায় ৩ হাজার ৫০০ পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে থাকবেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এছাড়া সাদা পোশাকেও থাকবেন পুলিশ কর্মীরা। টিকিটের কালোবাজারি রুখতে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
মোহনবাগানের যে সকল দর্শকরা আসবেন তারা ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবেন। তারা বেলেঘাটা দিয়ে ঢুকে আমূল আইল্যান্ডে এসে গাড়ি মিশ্রা আইল্যান্ড এবং ক্যানাল সাইডে পার্কিং করবেন। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা মাঠে প্রবেশ করবেন ১, ২ এবং ৩ নম্বর গেট দিয়ে। তারা কাদাপাড়া থেকে আমূল আইল্যান্ডে আসবেন। তারা যে গাড়ি নিয়ে আসবেন সেগুলি পার্কিং করতে হবে আই এ মার্কেটের আশেপাশে।
এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়কে পুলিশ বাদ দিয়েছে। সেগুলি যদি ভেবেও থাকেন ক্যারি করবেন, তাহলে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না আপনি।
নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তিনটি স্তরে চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ম্যাচ শুরু হবে ৪টের সময়। দর্শকদের ঢোকার জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে দুপুর ২টোয়। এছাড়া, ব্যানার, পোস্টার, বাজি ও দেশলাই এই ধরনের জিনিস নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। ছোঁড়া যায় এমন কোনও জিনিস ক্যারি করা যাবে না। এমনকি ছাতা, জলের বোতলও ভিতরে নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগের দুই সেমিফাইনালে দেখা গিয়েছে কাগজ দিয়ে মশাল বানিয়ে জ্বালিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। অন্যদিকে, স্মোক ব্যবহার করেছেন মোহনবাগান সমর্থকেরা। তারপরেই আরও কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। শুধু মোবাইল ও পার্স নিয়ে প্রবেশ করা যাবে।