নিজস্ব সংবাদদাতা: 'পশ্চিমবঙ্গে বিস্ফোরণ নতুন ব্যপার নয়। লোকে দীপাওয়ালিতে বোম ফাটায়। আর আমরা সারা বছর বোমা ফাটাই। তাই ব্লকে ব্লকে এমন বিস্ফোরণ হচ্ছে। আশেপাশের বাড়ি ও পাড়া পুরো উড়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতে কিছু বলবেন না', দত্তপুকুরে ঘটে যাওয়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন যে যে মমতার পায়ের তলায় বোমা রেখে দিয়ে গিয়েছে আর উনি বুঝতে পারছেন না। যে কিছু জানে না, নির্দোষ, সে মারা যাচ্ছে। মমতাকে আক্রমণ ;করে দিলীপবাবু বলেন যে উনি যুক্তি দেন এখানে লোকেরা খেতে পায় না। ১০০ দিনের কাজ নেই তাই বোমা তৈরি করছেন। পুলিশ কি এখানে খায় দায় আর ঘুমোয়? ওখান থেকে দুধের গাড়িতে করে বোম সাপ্লাই হত। ট্রাংকে করে বারুদ আসতো। সব জানে পুলিশকে বলেনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, 'পুলিশসকে বললে উল্টো কেস দেয়। পুলিশ ও নেতারা টাকা নেয় আর দিনের পর দিন এই অবৈধ কাজ চলতে দিয়েছে। এই ধরনের বিস্ফোরণের সবার মাথা ঘুরে গেছে। সবাই ভাবছে আমার পাড়াতেও হয়তো এই ধরনের বিস্ফোরণ হবে। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়ংকর ভয়ংকর বিস্ফোরণ হচ্ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ আছেন'।
এরপরেই দিলীপ ঘোষ Ragging নিয়ে আক্রমণ করলেন মমতাকে। বলেন, 'সেই প্রাচীন পদ্ধতিতে Ragging এখনো বন্ধ হয়নি। সবথেকে আধুনিক, সব থেকে মেধাবী ছাত্ররা যেখানে পড়ে সেই যাদবপুরে। এর থেকে দুর্ভাগ্য, লজ্জা কি হবে আর। যাদবপুরে উপাচার্য হওয়ার পরে সবকিছু পাল্টে দিবে এমন কোনও কারণ নেই। সরকার সহযোগিতা করবে না। কে যাচ্ছে কে আসছে জানে না। পুলিশ ঢুকবে না। সেখানে ছদ্মবেশে, সেনার বেশে ঢুকে গিয়ে সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করেছে কিছু লোক। একটা গুরুত্বপূর্ণ সেন্সেটিভ জায়গাতে দেশবিরোধী সমাজ বিরোধী ক্রিয়া-কলাপ চলছে। কি করে সম্ভব হচ্ছে এখানে কি সরকার নেই? এটা সরকারের দায়িত্ব নয়? হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে মৃত্যুর হাতে ছেড়ে দিয়েছে ওরা। এটা মমতা ব্যানার্জিকে স্টেপ নিতে হবে। উনি বড় বড় কথা বলেন একটা কিছু করার ক্ষমতা উনার নেই। একটা লাঠি চালাতে পারেন না, একটা এফ আই আর নেন না'।