নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে ইউজি প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি এখনও। একটি পরীক্ষা হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছিল। পরীক্ষার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি এখনও। অবিলম্বে পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা সহ কয়েকটি দাবিতে বৃহস্পতিবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালো বাম ছাত্র সংগঠন ডিএসও। তাদের দাবি, অবিলম্বে ইউজি প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষার নির্দিষ্ট তারিখ ও নির্ঘণ্ট দ্রুত প্রকাশ, দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস চালু, কর্ণাটক রাজ্যের মতো এরাজ্যেও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র চার বছরের ডিগ্রী কোর্স বাতিল করতে হবে। এদিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গেটে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পরে ছাত্র প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করে দাবিগুলো তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন, জেলা সম্পাদক তনুশ্রী বেজ, সভাপতি সিদ্ধার্থ শঙ্কর ঘাঁটা সহ অন্যান্যরা। তনুশ্রী বলেন, "শিক্ষার মর্মবস্তু ধ্বংসকারী জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ এবং রাজ্য শিক্ষানীতি ২০২৩ এর দ্বারা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একাধিক দাবিতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪ বছরের ডিগ্রী কোর্স চালু করে শিক্ষা প্রদান করার মতো পরিকাঠামো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই, যার ফলে পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। ১০ জুন বা ওই সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে যাবে"।
পাশাপাশি অবিলম্বে সরকারি স্কুল খুলে দ্রুত পঠনপাঠন চালু করার দাবিতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অফিসে বিক্ষোভ দেখায় ডিএসও। তাদের দাবি, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করে। পরবর্তীতে নির্বাচন ও নির্বাচনের জন্য আধা সামরিক বাহিনী স্কুলে থাকাকে কেন্দ্র করে স্কুলের পঠনপাঠন চালু করার প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই যেখানে অতি দ্রুত স্কুল খুলে পঠনপাঠন চালুর দরকার ছিল, সেখানে সরকার উদাসীন ভাবেই আরও অনেকগুলি শিক্ষা দিবসকে নষ্ট করে ১০ জুন স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার চালু হওয়ার দরুন অল্প সময়ে সিলেবাস শেষ করিয়ে সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ব্যাহত হবে এবং শিক্ষার্থীদের যথার্থ জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্তের সাথে সাথে তারা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে দাবি করা হয়েছে ডিএসও-এর তরফে। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সুজিত জানা, সুমন মহাপাত্র, সুমন পাল সহ অন্যান্যরা।