নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের জের দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে রাত থেকে কয়েক দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনাসহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। সকাল থেকে আকাশের মুখভার। আর তার সাথে কখনও ঝিরঝিরে তো আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টি চলছে। এদিকে আবহাওয়ার এহেন পরিবর্তনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে আলু ও ধান চাষীরা। হঠাৎ বৃষ্টির জেরে ধান চাষের সঙ্গে সদ্য শুরু হওয়া আলু চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কায় চাষীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে যেমন অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশ মেঘলা তেমনই দফায় দফায় শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে থেকে অল্প অল্প বৃষ্টি।আর আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে মাঠে বা খামারে থমকে থাকা চাষের কাজ দ্রুত শেষে করে গুছিয়ে নেওয়ার চরম তৎপরতা শুরু হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কৃষকদের মধ্যে এমনই তৎপরতার ছবি দেখা গেল চন্দ্রকোনায়। এখন মাঠ থেকে পাকা ধান কেটে তা ঝাড়াই বাছাই করে ঘরে তোলার সময়। মাঠের ধান কেটে অধিকাংশটাই খামারে তোলা হয়ে গেলেও বাকি যা রয়ে গিয়েছে তা ঝাড়াই বাছাই করে ঘরে তোলার কাজ বাকি। আবার এখনও কিছু কিছু জায়গায় জমিতে পাকা ধান পড়ে রয়েছে। মাঠের ফসল গোছ করার সময়ে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে দুশ্চিন্তায় ধান চাষীরা। পাকা ধান গোছ করার জন্য চলছে চরম তৎপরতা। আবার পাকা ধান কাটার পর তা খামারে ঝাড়াই হলেও বস্তাবন্দি অবস্থায় খামারে ত্রিপল চাপা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়েছে বৃষ্টির জন্য। পাকা ধান বৃষ্টিতে ভিজলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা।
অপরদিকে, মাঠে ধান তোলার পর জোরকদমে শুরু হয়েছে আলু লাগানোর কাজ। সবে জমিতে মাটি করে আলু বোনা চলছে। এহেন অবস্থায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চিন্তায় আলু চাষীরাও। তাদের কথা অনুযায়ী সবে আলু বুনে মাটি চাপা দেওয়ার কাজ চলছে। এই সময় বৃষ্টি হয়ে তাতে জল জমলে পচন নিশ্চিত। ভারি বৃষ্টি হলে সদ্য লাগানো আলু বৃষ্টিতে ডুবলে চরম ক্ষতি হবে। এই বছরও চড়া দাম দিয়ে রাসায়নিক সার থেকে আলু বীজ কিনে আলু চাষ শুরু করেছে কৃষকরা। শুরুতেই আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের। কৃষকদের দাবি, আবহাওয়ার জেরে চাষের ক্ষয়ক্ষতি হলে দ্বিতীয় বার পুনরায় ধার-দেনা করে চাষ করা চাষীদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না। এখন দ্রুত আবহাওয়া স্বাভাবিক হোক আর ভারী বৃষ্টি যাতে না হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ধান ও আলু চাষী উভয়ই।