জিওর একচেটিয়া আধিপত্য, মানুষ না পারছে গিলতে না পারছে ফেলতে!

এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, রিচার্জের দাম বৃদ্ধির বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস দলের মুখপাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
আপডেট করা হয়েছে
New Update

নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, রিচার্জের দাম বৃদ্ধির বিষয় সম্পর্কে, কংগ্রেস দলের মুখপাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আমরা জানতাম শুধু আম্বানিদেরকে খোলা হাত দেওয়া হয়েছিল। ভারতবর্ষে একটা নিয়ম আছে। ভারতে কখনও মনোপলি করা যায় না। কিন্তু সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে এয়ারসেলকে তুলে দেওয়া হলো, রিলায়েন্সের অন্য আর একটা কোম্পানি ছিল, ইউনিনর-এর মতো কোম্পানিগুলিকে উঠিয়ে দেওয়া হলো। তার জায়গায় শুধুমাত্র জিওকে রাখা হলো। বাধ্য করা হলো শুধু জিওকে নিতে। জিও মানুষকে ফ্রি-এর অভ্যাস ধরিয়ে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেল, যেখানে মানুষ না পারছে গিলতে না পারছে ফেলতে।

publive-image

উল্টো দিকে ভোডাফোন ও এয়ারটেল ও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বৃদ্ধি করছে। অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল যার দাম এখনও মানুষের সাধ্যের মধ্যে আছে, তার পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার চেষ্টা করল না কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও তাদের ফোরজি, ফাইভজি আসেনি। ইচ্ছে করে এটা করা হয়েছে যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটাকে রুগ্ন করা যায় এবং সংস্থাটাকে বেচে দেওয়া যায়। তারপর এরাই বলবে যে সরকারি সংস্থাগুলো পরিষেবা ভালো দেয় না। এই যে নরেন্দ্র মোদীর একচেটিয়া আধিপত্য, শুধুমাত্র তার দু'জন বন্ধুদেরকে সাহায্য করা - এটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি।

publive-image

এর আগেও রাহুল গান্ধী বলেছেন। আমরা যারা সাধারণ কংগ্রেস কর্মী তারাও বলেছি। এখন সাধারণ মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে। এটাই দুর্ভাগ্য। এই অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর জন্যই তো আমরা এই সরকারের বিরোধিতা করি। ভারতীয় মার্কেটে জিওকে একচেটিয়া আধিপত্য দেবার জন্যই কিন্তু এগুলো করা হলো। জিও কিন্তু শুধু এখন মোবাইলেই সীমাবদ্ধ নেই। টিভি, ইন্টারনেটে এসে গেছে। অন্যান্য জায়গাতেও ব্যবসা বৃদ্ধি করছে।"


Adddd