নিজস্ব সংবাদদাতা: সময়সীমাটা একযুগেরও বেশি সময়। প্রায় ১৪ বছর পর কোচবিহারে এলেন হাত শিবিরের যুবরাজ। সৌজন্যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। আজ ন্যায় যাত্রার ১২তম দিন। সেই ১২তম দিনে রাজ্যে পা রাখলেন রাহুল গান্ধী। আগামী ৩ দিন রাজ্যেই থাকবেন তিনি।
গতকালই কার্যত ইন্ডিয়া জোটে অঘোষিত সমাপ্তি ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে ক্ষোভের সুর। যেখানে তিনি বারবার করে উল্লেখ করেছেন, ‘রাজ্যে ন্যায় যাত্রা হচ্ছে, তাঁর কোনও তথ্য জানায়নি কংগ্রেস’। একই সাথে বলেছেন, ‘লোকসভায় ৪২টি আসনের প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। আসন রফার কোনও পরিকল্পনা নেই। এই রাজ্য থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়বে তৃণমূল। ইন্ডিয়া জোটের আলোচনা হবে নির্বাচনের পর’। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ক্ষোভের আবহে রাহুল গান্ধীর বঙ্গ সফর ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ।
যা জানা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা আজ অসম থেকে বক্সিরহাট হয়ে কোচবিহারে ঢুকবে। ইতিমধ্যেই অসম থেকে যাত্রা শুরু করে দিয়েছে ন্যায় যাত্রার বাস। বক্সিরহাটেই তিনি একটি সভায় বক্তব্য রাখবেন। বক্সিরহাটের কর্মসূচীর পর রাহুল গান্ধী তুফানগঞ্জের চামটা এলাকায় জিগনিতলা ক্লাবের উলটো দিকে মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য দাঁড়াবেন। আর সেখানেই রাহুল গান্ধীর খাবারের জন্য তোর্সা নদীর সুস্বাদু বোরলি মাছের বিশেষ পদ থাকছে।
তুফানগঞ্জে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর রাহুল গান্ধী কোচবিহারের মা ভবানী চৌপথিতে পৌঁছাবেন এবং সেখান থেকে তিনি কোচবিহার শহরে পদযাত্রা বের করবেন। রাজাবাড়ির সামনে দিয়ে সেই পদযাত্রা খাগড়াবাড়িতে গিয়ে শেষ হবে। সেখান থেকে ফের নির্দিষ্ট বাসে করে তিনি ঘোকসাডাঙা হয়ে ফালাকাটা পৌঁছবেন। ইতিমধ্যেই সব জায়গায় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে এই সবকিছুর মধ্যে বাড়তি চিন্তা যা হচ্ছে, তা হল ইন্ডিয়া জোটে নতুন খোঁচা, এরাজ্যের তৃণমূল বনাম কংগ্রেস সম্পর্ক। তা নিয়ে রাহুল বাড়তি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা, এখন সেটাই দেখার।