নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আমার কাছে ১০ লক্ষ চাকরি রেডি আছে' এই মন্তব্যের বিষয় সম্পর্কে কংগ্রেসের মুখপাত্র, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "উনি ২০১১ সালে সরকারের ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন উনি নাকি ৯৯ শতাংশ কাজ করে ফেলেছেন। তাহলে নিশ্চয়ই বাকি ১ শতাংশ কাজ তিনি ১৩ বছর ধরে করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা প্রত্যেকদিনের জীবনযাত্রা দিয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে, তারা কি অবস্থায় আছে। উনি যে ১০ লক্ষ চাকরির কথা বলছেন, আমি ধরে নিলাম বিরোধীরা পিটিশন দিয়ে সেই চাকরি আটকে রেখেছে। তবে তিনি কর্মখালির বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। উনি বলুক যে হুগলী জেলা পরিষদে বা উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০০টা কর্মখালি আছে। ২১শে জুলাই কেন হয়েছিল আমরা সবাই জানি।
এই দিনে যারা মারা গিয়েছিল তারা কিন্তু যুব কংগ্রেসের ছেলে। মৃতদেহরা কোনওদিন দল বদলায় না। সেই যুব কংগ্রেসের শহীদদেরকে ক্যাপিটালাইজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মসনদে বসেছেন। উনি একুশে জুলাই-এর একটা কমিশন গঠন করেছিলেন। সেই কমিশনের ফল আর বাইরে আসতে দেখলাম না। মনীষ গুপ্ত, রাজপাল সিং বহাল তবিয়তে, ওনার সরকারের অঙ্গ হয়ে গেলো। ২১শে জুলাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, সঠিক ভোটার কার্ড ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারবে না। নো এপিক কার্ড, নো ভোট। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল প্রয়াত দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে ভোট দেয়ালেন। আমি সেই বিধানসভা ভোটের প্রার্থী ছিলাম। আমি দেখেছি যে সল্টলেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখলাম পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী স্লিপ চিবিয়ে খেয়ে নিলো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিষয় নিয়ে লড়লেন, সেটাকে দায়িত্ব নিয়ে খুন করলেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি। কিন্তু আমরা তো কেউ অমর নই। আজ বাদে কাল, যদি শহীদদের আত্মারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে, 'দিদি আমাদেরকে তো স্বপ্ন দেখিয়ে শহীদ করে দিলেন। আমাদের সংসারটা তো ভেসে গেল। এর ভিত্তি করেই আপনি ক্ষমতায় এলেন। তারপর সেই স্বপ্নটাকে আপনি হত্যা করে দিলেন।' তখন কি বলবেন তিনি? যেই মঞ্চ একসময় শহীদদের মঞ্চ ছিল সেটা এখন পেশী আস্ফালনের মঞ্চ, বিজয় উৎসবের মঞ্চ, পাগলু ডান্সের মঞ্চ। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ কি সত্যি কথা আশা করে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী হিসেবে দশে পনেরো পাবেন, কিন্তু প্রশাসক হিসেবে তিনি দশে দুইও পাবেন না। আর আমাদেরও হয়তো খামতি আছে, তাই বিরোধী দল হিসেবে মানুষের কাছে ঠিক মতো পৌঁছতে পারছিনা। বিশ্বাসযোগ্যতা আদায় করতে পারছি না। সেই কারণেই হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার এই রাজ্যের প্রশাসক।"
২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ এখন পাগলু ডান্সের মঞ্চ
এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিষয় সম্পর্কে বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আমার কাছে ১০ লক্ষ চাকরি রেডি আছে' এই মন্তব্যের বিষয় সম্পর্কে কংগ্রেসের মুখপাত্র, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "উনি ২০১১ সালে সরকারের ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন উনি নাকি ৯৯ শতাংশ কাজ করে ফেলেছেন। তাহলে নিশ্চয়ই বাকি ১ শতাংশ কাজ তিনি ১৩ বছর ধরে করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা প্রত্যেকদিনের জীবনযাত্রা দিয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে, তারা কি অবস্থায় আছে। উনি যে ১০ লক্ষ চাকরির কথা বলছেন, আমি ধরে নিলাম বিরোধীরা পিটিশন দিয়ে সেই চাকরি আটকে রেখেছে। তবে তিনি কর্মখালির বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। উনি বলুক যে হুগলী জেলা পরিষদে বা উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০০টা কর্মখালি আছে। ২১শে জুলাই কেন হয়েছিল আমরা সবাই জানি।
এই দিনে যারা মারা গিয়েছিল তারা কিন্তু যুব কংগ্রেসের ছেলে। মৃতদেহরা কোনওদিন দল বদলায় না। সেই যুব কংগ্রেসের শহীদদেরকে ক্যাপিটালাইজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মসনদে বসেছেন। উনি একুশে জুলাই-এর একটা কমিশন গঠন করেছিলেন। সেই কমিশনের ফল আর বাইরে আসতে দেখলাম না। মনীষ গুপ্ত, রাজপাল সিং বহাল তবিয়তে, ওনার সরকারের অঙ্গ হয়ে গেলো। ২১শে জুলাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, সঠিক ভোটার কার্ড ছাড়া কেউ ভোট দিতে পারবে না। নো এপিক কার্ড, নো ভোট। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল প্রয়াত দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে ভোট দেয়ালেন। আমি সেই বিধানসভা ভোটের প্রার্থী ছিলাম। আমি দেখেছি যে সল্টলেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখলাম পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী স্লিপ চিবিয়ে খেয়ে নিলো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিষয় নিয়ে লড়লেন, সেটাকে দায়িত্ব নিয়ে খুন করলেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি। কিন্তু আমরা তো কেউ অমর নই। আজ বাদে কাল, যদি শহীদদের আত্মারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে, 'দিদি আমাদেরকে তো স্বপ্ন দেখিয়ে শহীদ করে দিলেন। আমাদের সংসারটা তো ভেসে গেল। এর ভিত্তি করেই আপনি ক্ষমতায় এলেন। তারপর সেই স্বপ্নটাকে আপনি হত্যা করে দিলেন।' তখন কি বলবেন তিনি? যেই মঞ্চ একসময় শহীদদের মঞ্চ ছিল সেটা এখন পেশী আস্ফালনের মঞ্চ, বিজয় উৎসবের মঞ্চ, পাগলু ডান্সের মঞ্চ। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ কি সত্যি কথা আশা করে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী হিসেবে দশে পনেরো পাবেন, কিন্তু প্রশাসক হিসেবে তিনি দশে দুইও পাবেন না। আর আমাদেরও হয়তো খামতি আছে, তাই বিরোধী দল হিসেবে মানুষের কাছে ঠিক মতো পৌঁছতে পারছিনা। বিশ্বাসযোগ্যতা আদায় করতে পারছি না। সেই কারণেই হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার এই রাজ্যের প্রশাসক।"