নিজস্ব সংবাদদাতা: সাতসকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘুম ভাঙল এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থল বউবাজার এলাকা। যা জানা যাচ্ছে, এদিন সকাল ৭টায় প্রথম আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।
যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের কারখানা রয়েছে। সেখানে গোডাউনে মজুত রয়েছে ড্রাম ভর্তি আঠা। আর সেখানেই আগুন লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। বহুতলের দোতলায় বসবাস করেন অনেকেই। আগুন লাগার খবর পেতেই আতঙ্ক ছড়ায় তাদের মধ্যে। দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রথমেই দমকলের কর্মীরা আবাসিকদের নিরাপদে বের করিয়ে নিয়ে আসেন। তারপর শুরু হয়েছে আগুন নেভানোর কাজ।
যা জানা যাচ্ছে, যত বড় বহুতল ঠিক ততো বড়ই বেসমেন্ট। আর ওই সম্পূর্ণ বেসমেন্ট জুরে রয়েছে গোডাউন। গোডাউনের ভিতরে রয়েছে রাসায়নিক ড্রাম। সেখানে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। সেখানে ঢুকতে পারছেন না দমকল কর্মীরা। ওই বেসমেন্টে ঢোকার ও বেরনোর পথ একটিই। ফলে ওই গলি দিয়ে ঢুকে কাজ করাও বেশ কঠিন হচ্ছে দমকল কর্মীদের।
এই আবাসনে একাধিক অফিসও রয়েছে। সেখানে বহু দাহ্য পদার্থ মজুত রয়েছে। ঘিঞ্জি-ঘন জনবসতি পূর্ণ এলাকা এটি, পাশেই রয়েছে আরও ভবন। ফলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপাতত দমকল কর্মীরা আবাসনে আটকে থাকা ব্যক্তিদের নামিয়ে আনার কাজ করছেন। অনেককেই নামিয়ে আনা গিয়েছে। তবে তিনজন আবাসিক ভয়ে আর নামতে পারেননি। তাদের ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওই গুদামের একাধিক দরজা ছিল। কিন্তু সকালে সবই তালা বন্ধ ছিল। ফলে প্রথমে ঢুকতে খুব সমস্যায় পড়েন দমকলকর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পরে বেসমেন্টে পৌঁছতে পারেন দমকল কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকালে তারা দেখেন ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। তারপরেই দেখা যায়, বেসমেন্ট থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলকে। দমকল এলেও সামনের রাস্তা সরু হওয়ায়, প্রথমে দমকল ঢুকতে সমস্যা হয়। পরে তার কাছে পৌঁছন দমকল কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রবল শব্দ হচ্ছিল, তাঁদের ধারণা ওই গুদামে আঠার ড্রাম রাখা হয়, আগুন লাগার কারণেই প্রবল দাহ্য ঐ আঠার ড্রামে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই কারণেই এমন আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে।