নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, রিচার্জের দাম বৃদ্ধির সম্পর্কে, বিজেপি নেত্রী তমসা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "মোবাইলে রিচার্জের বিষয়ে যদি বলতে হয় তবে আগে অতীতের পাতা উল্টানো প্রয়োজন। অতীতে দাম কি ছিল এবং বর্তমান দাম কি দাঁড়িয়েছে। অতীতের পাতা উল্টাতে গিয়ে হঠাৎ চোখ গেল ২০১৩ সালের একটা খবরে। যেখানে এয়ারটেল এবং ভোডাফোন নিজেদের রিচার্জ প্ল্যানগুলোতে ৩০% অব্দি মূল্যবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। এয়ারটেল নিজের টু-জি ডেটার মূল্য ঘোষণা করেছিল, যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল।
১ জিবি টু-জি ডেটার দাম ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫ টাকা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে, ভারতীয় এয়ারটেলের তৎকালীন জনৈক মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'এই নামমাত্র সংশোধন মূল্যের স্থিতিস্থাপকতা। গ্রাহকের চাহিদা এবং পরিষেবার পরিকাঠামো উন্নয়নের সমর্থনকারী খরচ সাপেক্ষ। রিচার্জ মূল্যে আমাদের সাম্প্রতিক সংশোধনের মাধ্যমে এমবি প্রতি মাত্র দু-তিন পয়সা বৃদ্ধি করা হলো। এটি আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি যথাযথ ও চমৎকার মূল্য প্রস্তাব।' বর্তমানে ১ জিবি ফোর-জি ডেটার মূল্য ১৯ টাকা থেকে বেড়ে ২২ টাকা হয়েছে। কারণ হিসেবে টেলিকম সংস্থাগুলির যুক্তি, তারা তাদের এআরপিউকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত করতে চায়, যাতে তারা ফাইভ-জি পরিষেবা দিতে পারে।
মানুষ তো আর অতীতের পুনরাবৃত্তি করার জন্য কেন্দ্রে মোদীজির নেতৃত্বে এনডিএ সরকারকে নির্বাচিত করেনি। তাই জন্য বর্তমান সরকারকে জনগণকে পরিষেবা দিতেই হবে। ভারত সরকার সেই কাজটাই করছে। বিএসএনএলকে পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকার টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। যাতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, গ্রাহকের ফোর-জি এবং ফাইভ-জি পরিষেবা দেওয়ার জন্য। বিনামূল্যে কিছু হয় না এটা মানুষকে বুঝতেই হবে। বিশেষ করে বাংলার মানুষকে বুঝতে হবে। ভাতা, ভর্তুকি ও বিনামূল্যের লালসা ত্যাগ করে আমাদের ন্যায্য মূল্যে ন্যায্য পরিষেবার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।"