নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেল সহ সবজির দাম বৃদ্ধির সম্পর্কে, বিজেপি নেত্রী তমসা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "ভারতীয় রাজনীতিতে পেট্রোলের ডিজেলের দাম তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বরাবর একটা অত্যন্ত জ্বলন্ত বিষয়। আরও একবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর যার আঁচ এসে পড়েছে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের উপর। রাজ্য সরকার পেট্রোল-ডিজেলের দামের উপর প্রতি লিটারে এক টাকা করে কর বৃদ্ধি করেছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে এটা নিয়ে একসময় চর্চা, অপপ্রচার, আন্দোলন কম হয়নি। কিন্তু যেটা সাধারণ মানুষকে জানানো হয়নি সেটা হলো, ইউপিএ সরকারের আমলে যে বিপুল পরিমাণের অয়েল বন্ড, সেই অয়েল বন্ডের দেনার দায় গ্রহণ করতে হচ্ছে মোদী সরকারকে।
আজ কেন্দ্রের সঠিক নীতির ফলে এই অয়েল বন্ডের চাপ কেন্দ্রীয় সরকারের উপর থেকে কমেছে। এবং তার সুফল ভারতবাসী পাচ্ছেন। আজ কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে, এমনকি যখন তেলের দাম বেড়েছে, সেই সময় বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার গুলি নিজেদের করের টাকা থেকে সেখানের জনগণকে ভর্তুকি দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বরাবর এর ব্যতিক্রম। আমরা এর আগেও দেখেছি যে বিভিন্ন সময় পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে তারা সুর চড়িয়েছে।
কিন্তু কখনও তারা নিজেদের করের টাকা থেকে এক টাকাও বা কয়েক পয়সাও মানুষকে ভর্তুকি দিতে রাজি হয়নি। এখনও উত্তরপ্রদেশ, পাশের রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যায় গেলে বাংলার থেকে অন্ততপক্ষে প্রতি লিটার তেলের দাম ৯ থেকে ১০ টাকা কিন্তু সস্তা হয়। শুধু তাই নয় পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনলে রাতারাতি তেলের দাম কমতে পারতো। কিন্তু তাতেও বিরোধ করেছিলেন তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অমিত মিত্র। সেই বিরোধ আজও অব্যাহত। আসলে, এই পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া মানসিকতার একটা নির্লজ্জ জনবিরোধী নেতৃত্বে পরিচালিত। বাংলার সাধারণ মানুষকে তাই এই ফল ভোগ করতেই হবে।"