জয় বাংলা জঙ্গি পার্টি

এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, কোচবিহারে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে নগ্ন করে নির্যাতন করার বিষয় প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
আপডেট করা হয়েছে
New Update

নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, কোচবিহারে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে নগ্ন করে নির্যাতন করার বিষয় প্রসঙ্গে, বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী বলেছেন, "রোশনারা খাতুনের সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি আমাদের মাইনরিটি মহিলা মোর্চার সদস্যা। চাষবাসের কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় কিছু মহিলা তাকে বীভৎস মারধর করে। তাকে উলঙ্গ করে ফেলে রাখা হয়। সেই বীভৎস ছবি আমরা প্রত্যেকে দেখেছি। তবে বুঝতে হবে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি রাজ্যের দেখার কথা।

publive-image

আইনের শাসন বা আইনের ভয় তৃণমূলের যারা হার্মাদ বা গুন্ডা তাদের মধ্যে নেই। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন যে, 'আরে ও যদি তৃণমূল করত তবে কি ওকে পুলিশ ধরতো?' তিনি বগুটুই কাণ্ডের সময় প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে আনারুল কেন পুলিশ পাঠায়নি? অর্থাৎ তৃণমূল নেতাদের দায়িত্ব যে কোন ঘটনায় পুলিশ যাবে, কার বাড়িতে পুলিশ যাবে, কোন ঘটনায় পুলিশ যাবে না। বেহালায় একটা শুট আউট ঘটেছিল। যে গুলি খেয়েছিল সে গুলি খেয়ে ডাক্তার, হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশনে না গিয়ে, সোজা তৃণমূলের কার্যালয়ে চলে গেছিল। কারণ তৃণমূল বলে দিলেই তবে তাকে চিকিৎসালয়ে নেওয়া হবে না হলে নেওয়া হবে না। জঙ্গি সংগঠন শাহাজাদে-আল-ইকমার নেতা হাফেজ শেখ ধরা পড়েছেন। তিনি নদীয়া জেলার সভাধিপতি। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এটাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের কন্ট্রোল তৃণমূলের অন্য কোনও নেতার হাতে নেই।

publive-image

এটা কারা চালাচ্ছে আমরা জানিনা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বুঝতে হবে, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে বুঝতে হবে, এই জয় বাংলা জঙ্গি পার্টি কারোর নয়। না হিন্দুর না মুসলমানের। এরা বিভাজন সৃষ্টি করে শুধু ক্ষমতায় থাকার প্রচেষ্টা করছে। এরা একদলকে উস্কে, অন্য দলের চোখে যতটা পারা যায় ছোট করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।





Adddd