নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা সম্পর্কে, বিজেপি যুব মোর্চার মুখপাত্র পৃথ্বীরাজ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "এটা একটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা যেখানে দেখতে পেয়েছি মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে একজন পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি ডাক্তার যিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। খুন ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে তাকে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট, পুলিশ কমিশনার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী যা খবর পাওয়া গেছে, সেখানে এটা স্পষ্ট যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটা প্রবল গাফিলতি ছিল। সেখানে এই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে সঞ্জয় রায় যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি কিভাবে সেমিনার হলে গেলেন এবং যেখানে অন্য সময় কেউ ঢুকতে পারে না সেই জায়গায় তিনি গেলেন কিভাবে? দ্বিতীয় কথা, এই সেমিনার হলে বেশকিছু মাস আগে কয়েকজন মাতাল ঢুকে পড়েছিল। এই সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট অবগত ছিলেন। তাও তারা কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেই নির্যাতিতা মহিলাকে খুন করে ধর্ষণ করা হয়েছে তিনি ছত্রিশ ঘন্টা ডিউটির পর সেমিনার হলে একটু রেস্ট নিতে গেছিলেন। আরজিকর হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য রেস্ট নেবার আলাদা কোনও রুম নেই। সেমিনার হলে কোনও সিসিটিভিও ছিল না। অর্থাৎ এই বিষয় থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে কিভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরাট একটা গাফিলতি ছিল। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় যাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে তিনি পুরুষ চেষ্ট মেডিসিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট, পুলিশ সূত্রে দাবি তিনি হলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রশাসনিক প্রধান যদি ধর্ষণের মতো একটি বিষয়কে সমর্থন করে থাকে তবে এর থেকে দুঃখের বিষয় তো আর কিছু হয় না। মমতা বন্দোপাধ্যায় এই বিষয়ে এখন চাপে পড়ে বলছেন যেকোনও রকমের পদক্ষেপ নিতে তিনি প্রস্তুত।
এদিকে দমদমের সংসদ সৌগত রায় এবং মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নির্যাতিতার বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন তারা চাইলে নাকি সিবিআই তদন্তের দাবি করতে পারেন। রাজ্যের শাসকদলের নেতৃত্বদেরকে সিবিআই-এর উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। এর থেকেই বুঝে নিতে হবে যে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা একেবারেই ব্যর্থ। সঠিক বিচার পেতে হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর ওপরেই ভরসা করতে হবে। আমরাও বলছি যে রাজ্য পুলিশের দ্বারা কিছু হবে না। গতকাল আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের দাবিতে হাসপাতালে সামনে গিয়েছিলাম। আমি সত্যিই জানিনা কোন সভ্যরাজ্যে এরকম নির্মম, নিম্নরুচির একটা ঘটনা ঘটতে পারে।"