মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাথি মেরে তাড়ান...

এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন রাজ্য যুব বিজেপির মুখপাত্র পৃথ্বীরাজ মুখোপাধ্যায়।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
New Update

নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার প্রসঙ্গে, রাজ্য যুব বিজেপির মুখপাত্র পৃথ্বীরাজ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম থেকে কেন্দ্র রাজ্য সমন্বয়ের বিরোধী ছিলেন। তিনি কোনদিনই চান নিজে কেন্দ্র রাজ্য সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলার উন্নয়ন ঘটুক। ওনার একটাই অ্যাজেন্ডা। তিনি অন্ধ মোদী বিরোধীতাকেই সামনে রাখবেন উন্নয়নকে নয়। সেটা এখান থেকে পরিষ্কার। দ্বিতীয় কথা হল, নীতি আয়োগ এর বৈঠকে যাবার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি লিখিত প্রস্তাবনা জমা দিতে হতো। তিনি কি কি বলবেন, না বলবেন বৈঠকে সেখানে লেখা থাকে ও সেটা অনুযায়ী তার জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়। যা উনি লিখিতভাবে কেন্দ্র সরকারকে দিয়েছিলেন তার জন্য ওনার ৭ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল। উনি যদি তার থেকে বেশি কিছু লিখে জমা দিতেন তবে সেই অনুযায়ী তার জন্য সময় বরাদ্দ করা হতো।

publive-image

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাত মিনিট বলেছেন এবং তার সময় ফুরিয়ে গেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেখানে ট্যাপ করেন। বিষয়টা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করতেন তার আরও কিছু বলার আছে তিনি কিন্তু আরও অনেক কিছু বলতে পারতেন। আর তাকে কিন্তু লাঞ্চের আগে বলতে দেওয়া হয়েছিল, লাঞ্চের পরে নয়। সপ্তম জায়গায় অর্থাৎ গুজরাটের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল। কিন্তু বিষয়টা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন অন্ধ মোদী বিরোধিতা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বলুন বা প্রশাসনিক কাঠামো বা গণতান্ত্রিক কাঠামো, কোনোটাকেই মানছেন না তিনি। একটা ধ্বংসাত্মক নীতি নিয়ে তিনি বারবার এগিয়ে যাচ্ছেন। এই যে ঘটনাটা ঘটেছে, সেটা যে পূর্ব পরিকল্পিত তা প্রত্যেকে জানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষের স্বামী, জিনি একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক তিনি একটি প্রতিবেদনে বলেই দিয়েছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো তার বলা হয়ে গেলেই সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বিরোধী নেত্রী, মধ্যপ্রদেশে কিন্তু বিজেপি সরকার গঠন করেছে। তর্কের খাতিরে তার কথাকে আমি সত্যি করে ধরেওনি, তাও কিন্তু মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাত্র সাড়ে চার মিনিট সময় পেয়েছেন।

publive-image

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কথা বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাতে চাইলেন যে ইন্ডি জোটের কেউ সেখানে পৌঁছয়নি, আমি পৌঁছেছি তো ফলে আমাদের টাকাটা দিতে হবে। ইন্ডি জোটের কেউ সেই বৈঠকে যোগ দেয়নি। তিনি দেখাতে চাইলেন তিনি সব থেকে ভালো বিরোধী নেত্রী। তিনি ইন্ডি জোটের সঙ্গেও বিট্রে করলেন। তিনি এখানে এসে দেখালেন তাকে তার পাওনা টাকা দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চৌর্য বৃত্তির এজেন্ডা নিয়ে আজ থেকে নয়, বহুদিন আগে থেকে চলেছে। কংগ্রেস এখন ৫৪৩ এর জায়গায় ৯৯-এর নিচে নেমে গেছে। তারা যাদেরকে জোট শরিক হিসেবে নিয়ে চলছে এমন চলতে থাকলে,  তাদের আসন সংখ্যা ৩০ এর নিচেও নেমে যেতে পারে। কিন্তু কংগ্রেস যদি সাইন বোর্ড পার্টি থেকে নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়াতে চায়, তবে আমি বলব আগে ইন্ডি জোট থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাথি মেরে তাড়ান, তবে কংগ্রেসের উন্নতির সম্ভাবনা আছে।"

Adddd