হাসপাতালে সুপারকে কেন শোকজ করা হলো না? বিচার চাই!

এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ। 

author-image
Shroddha Bhattacharyya
New Update

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা সম্পর্কে, বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ বলেছেন, "এই রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের মহিলারা নিরাপদ নন। ডাক্তার যদি হাসপাতালের মধ্যে নিরাপত্তা হয় তাহলে আর কোথায় হবেন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঘটনাটা ঘটার পরে পুলিশ তৎক্ষণাৎ বললো আত্মহত্যা। পুলিশের কি দিব্যদৃষ্টি আছে?

publive-image

পুলিশ জানলো কি করে যেটা আত্মহত্যা? আসলে এই রাজ্যের সমস্ত ধর্ষণ, খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাগিয়ে দেওয়ার যে প্রবণতা সেটা আরো একবার দেখা গেছে। অন্যদিকে এই যে সঞ্জয় রায়, সে তো হাসপাতালের কেউ নয়। সে তো বহিরাগত। একজন বাইরের লোকের অবাধ বিচরণ শুধুমাত্র সিভিক পুলিশ বলে! রাজ্যের সিভিক পুলিশরা আর কিছুই নয় সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের ক্যাডার। ক্যাডার বলেই তার এই দুঃসাহসিক বর্বরোচিত, নির্মম কাজ করার সাহস হয়েছে। কারণ সে ভেবেছিল এসব করেছে পার হয়ে যাবে, তার মাথায় নেতা মন্ত্রীদের হাত রয়েছে তার কিছু হবে না। মানুষের চাপে, ভারতীয় জনতা পার্টির চাপে পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনাটাকে খুনের ঘটনা হিসেবে প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য হয়। এই মেয়েটির খুনের বিচার আমরা চাই। কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা। পুলিশ বাড়ির লোককে ফোন করে বলেছে, 'আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে'। কেন বলেছেন এই কথা? হাসপাতালে সুপার সঞ্জীব ঘোষ বলেছে যে মেয়েটি দায়িত্বজ্ঞানহীন-এর মত কাজ করেছে। এখনও পর্যন্ত কেন স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে তাকে সরানো হলো না? কেন শোকজ করা হলো না? এই সেই সন্দীপ ঘোষ যার অসাধু কার্যকলাপের জন্য বেশ কিছুদিন আগে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সন্দীপ ঘোষ, যখন এরকম একটা বাজে মন্তব্য করেন তখন কেন তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?

publive-image

তিনি শুধুমাত্র শাসকদলের নীতিতে অনুপ্রাণিত বলে? তার সবুজ আবির মাখা ছবি আমরা সবাই দেখেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বলছেন সিবিআই হবে, ফাঁসি হবে। কিন্তু সিবিআই তো এই রাজ্যে সুয়ো-মোটো করতে পারবে না। সেই রাস্তা তো আপনারা আটকে রেখেছেন। আপনারা সিবিআই-এর কাছে দাবি করুন। দ্বিতীয়তঃ মেয়েটির উপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে তার পেলভিস ভেঙে গেছে। এই ঘটনাটা কি কারোর একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব? বিষয়টাকে তড়িঘড়ি করে ধামাচাপা দেবার জন্য এই সঞ্জয়কে ধরিয়ে দেওয়া হলো পুলিশের হাতে। আমরা চাই এই বিষয়টার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল দোষীরা শাস্তি পাক।"