নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, অখিল গিরির ক্ষমা না চাওয়ার বিষয় সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ বলেছেন, "এটা অখিল গিরির ঔদ্ধত্য। এটা শুধুমাত্র এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। যখন উনি আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অখিল গিরি শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা চেয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরং আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তাকে শোকজও করা হয়নি এবং মন্ত্রীসভা থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়াও হয়নি। আর যদি সেটা করা হতো তবে তার ফল অন্য রকম হতো।
অখিলগিরি ভেবেছেন যে কোন সময় যে কোনও মহিলার বিরুদ্ধে তিনি এই ধরণের কুরুচিকর মন্তব্য করে পার পেয়ে যাবেন। একটা কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি, মহিলার বিরুদ্ধে তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন বলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। এটা হচ্ছে মন্ত্রীত্বের লড়াই। কিসসা কুর্শিকা, কিসসা দুই মন্ত্রীকা। এখানে বীরবাহ হাঁসদা তিনি এখানে এগিয়ে গেছেন এবং পিছিয়ে গেছেন অখিল গিরি। এখানে ফেভারিটজম করা হয়েছে বীরবাহ হাঁসদার সঙ্গে।
বনদপ্তরে অখিল গিরিকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের নারীদের সম্মান সম্পর্কে ভাবিত হতেন তবে যখন অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলেছিলেন তখনই তার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধুমাত্র লোক দেখানো রাজনীতি করছেন এবং জনগণের আইওয়াশ করছেন।"