রাজ্য পুলিশের উপর মুখ্যমন্ত্রীরই ভরসা নেই, প্রমাণ লোপাট হয়নি তো?

 এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করলেন বিজেপির মুখপাত্র অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়।

author-image
Shroddha Bhattacharyya
New Update

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনা সম্পর্কে, বিজেপির মুখপাত্র অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করার কোনও ভাষা নেই। এটা আরেকটা স্বপ্নের মৃত্যু। হাসপাতালে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন সুরক্ষিত নয়, ডাক্তাররাও সুরক্ষিত নয়।

publive-image

আমরা ঈশ্বরের পরে যাকে বাস্তবের মাটিতে ভগবান হিসেবে ভাবি সেই ডাক্তারের এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়ে একটা প্রশ্ন আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করতে চাই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রশাসনিক প্রধান হয়ে রাজ্যের প্রশাসনের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না, নিজের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর উপর ভরসা রাখতে পারছেন না সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে ভরতে রাখবে। যেখানে প্রশাসনিক কর্তা না প্রথমে ঘটনাটা ঘটার পরেই তাকে আত্মহত্যা বলে দেবার চেষ্টা করেছেন। সেটা কি করে পারলেন? পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় যে তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত রয়েছে, হাড় ভেঙে গেছে। সেখানে কি করে প্রশাসনিক কর্তারা কিভাবে বিষয়টাকে হালকাভাবে নেয়? প্রশ্ন আরও থেকে যাচ্ছে যে এই বিষয়টা কি একা কখনো কারোর পক্ষে ঘটনা সম্ভব? কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তিকে বাঁচাবার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আসেনি তো? পুলিশ কিছুটা সত্যকে সামনে এনেছে।

publive-image

আমরা সম্পূর্ণ সত্যটাকে সামনে আনতে চাই। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আদালতের মাধ্যমে আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক দোষীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। একজন সিভিক পুলিশ কিভাবে এতটা প্রভাবশালী হতে পারে যে তার অবাধ বিচরণ রয়েছে হাসপাতালের মধ্যে? যখন ৩৬ ঘন্টা ডিউটির পর একজন ডাক্তার রেস্ট নিচ্ছে, তখন তার সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগেও এই রাজ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার ৱ্যাগিঙ-এর কারণে মৃত্যু হয়েছে। সেটারও কোনও সুরাহা হয়নি। এই রাজ্যে একাধিকবার ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটেছে এবং রাজ্যের উচ্চপদস্থ নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক কর্তারা মিষ্টি মিষ্টি চটকদারি কথা বললে যেটা দায় ঝেড়ে ফেলেছেন। আমরা কড়া তদন্ত দাবি করছি। এতকিছু হবার পরেও তিনি সিবিআই তদন্ত করার দাবি করছেন এরই মধ্যে কোনও প্রমাণ লোপাট কিংবা প্রমাণকে বিকৃত করা হয়নি তো? আমরা চাই এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক যাতে দ্বিতীয় বার এই ধরনের ঘটনা ঘটাবার চিন্তাও যেন কেউ করতে না পারে। আমার মনে হয় দলমত নির্বিশেষে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে সকলের দাঁড়ানো উচিত।"