নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, বাজেট সম্পর্কে, রাজ্য যুব বিজেপির মুখপাত্র অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "দেখুন এই বাজেটটা মধ্যবিত্ত এবং হত দরিদ্রদের জন্য একদম সঠিক বাজেট হয়েছে। ভারত সরকার সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ, দীন দরিদ্র মানুষদের কথা ভেবেছে। এটা বড়লোকদের জন্য নয়, হতদরিদ্র এবং মধ্যবিত্তদের বাজেট হয়েছে। কারণ, আজকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি এক কোটির মত মানুষদের আজ ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। আমরা দেখেছি একাধিকবার ফ্যামিলি পেনশনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের দাম কমানো হয়েছে। একইভাবে সোনা-রুপোর দাম কমেছে। প্লাস্টিকের দাম বেড়েছে যে প্লাস্টিক গোটা ভারতবর্ষকে শুধু নয় গোটা পৃথিবীকে দূষিত করে। প্লাস্টিকের দাম বাড়ানো হচ্ছে যাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমে। আমরা দেখেছি যে সবকিছুর ভারসাম্য বজায় রেখেই বাজেট করা হয়েছে। আর যারা বলছে বাংলাকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চনা করা হয়েছে এই বাজে তো তারা খুব ভুল কথা বলছে।
কলকাতা, অমৃতসর করিডরের জন্য সেখানে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গোটা কলকাতা জুড়ে যে মেট্রো তার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, ভিক্টোরিয়ার মতো পর্যটন কেন্দ্র, ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একাধিক খাতে বাংলার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চওড়া চওড়া যে হাইওয়ে রাস্তা তার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যাতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা যায় তার দিকে কেন্দ্রীয় সরকার পুরোপুরি নজর রেখেছে। কিন্তু বিরোধীরা যেখানে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে চায় না, যারা বলে রাজ্য সরকার নিজের ইচ্ছেমতো ডিএ দেবে, তারাই কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার সময় চায় প্রত্যেকটা রাজ্যের জন্য যেন আলাদা করে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
তারা সুযোগ-সুবিধাটা চাই শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য রাজনীতি করার জন্য। কেন্দ্র সরকার সবার কথা মাথায় রেখে এই বাজেটটা করেছে এবং যুব, কৃষক, মহিলা - সকল ধরণের মানুষের কথা মাথায় রেখেই বাজেটটা করা হয়েছে। মহিলা ও যুবদের স্টার্ট আপের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্যও টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের খেয়াল রেখেছে। বিরোধীরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কেন্দ্র সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। যেভাবে কেন্দ্র সরকার হতদরিদ্র মানুষদের পাশে দাড়াচ্ছে ঠিক উল্টোদিকে এই রাজ্যে আলু, পটলের দাম সীমা ছাড়িয়ে গেছে। মানুষ ওষুধের দোকানে বার্নল কিনতে যাচ্ছে কারণ মানুষের হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। রাজ্য সরকার মানুষের মুখের অন্ন কেড়ে নিচ্ছে মানুষের পেটে টান পড়ছে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেবার কথা বলছে সেখানে বাংলার এই রাজ্য সরকার স্ল্যাব কমিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্র সরকার সর্বদা মানুষের পাশে রয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার সর্বদা মানুষকে হতদরিদ্র করে তুলছে। রাজ্য সরকারের যে শাসকদলের নেতা তাদের জীবনের মান উন্নয়ন ঘটছে, কিন্তু সাধারণ মানুষদের বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।"