নিউজ ডেস্ক, দাসপুর: দাসপুর থেকে সোনার কাজে গিয়েছিল লখনউতে, আর সেখানেই অকালে প্রাণ হারাল যুবক। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে উত্তেজনা।
মৃত্যু হয়েছে দাসপুরের যুবকের, খুন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। কয়েক মাস আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর এলাকার এক বাসিন্দা কার্তিক সামুই লখনউতে সোনার দোকানে কাজে গিয়েছিল। ১৯ অগস্ট বাড়িতে খবর আসে কার্তিক ১৮ অগস্ট আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ১৮ অগস্ট সকালে ফোন করেছিল কার্তিক। কার্তিক ফোনে জানিয়েছিল “কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু টাকা লস হয়েছে। সেই টাকা বাড়ি থেকে যাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় তাই জানাই সে”।
কার্তিকের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, ওকে মেরে ফেলা হয়েছে। কার্তিক আত্মহত্যা করেনি। কার্তিক যেখানে কাজ করতে গিয়েছিল সেই দোকান মালিক কার্তিকের স্ত্রীর জামাইবাবু, ওরাই পরিকল্পিতভাবে কার্তিককে মেরে ফেলেছে।
দাসপুরের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে কার্তিকের নিথর দেহ বাড়িতে আসতেই তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। কার্তিকের স্ত্রী এবং কার্তিকের শশুর ও শাশুড়িকে ঘিরে কার্তিকের পরিবারের লোকজন তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। খবর যায় দাসপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি গিয়ে উপস্থিত হয় দাসপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।