নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন জোরদার হওয়ায় বাংলাদেশে গত দুই দিনে ১৩৯ জন বিরোধী দলীয় কর্মকর্তা ও কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন প্রসিকিউটর ও আইনজীবীরা।
যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে বাধা দেয়ার ঐতিহাসিক অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি এই রায়কে 'ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের উদ্বেগ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নিরপেক্ষ সরকারকে নির্বাচন পরিচালনা করতে বাধ্য করার জন্য বিএনপি গত বছর থেকে ধারাবাহিক সমাবেশ ও মিছিল করেছে।
কিন্তু গত মাসের শেষ দিক থেকে পুলিশ বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিএনপির প্রায় পুরো শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করেছে এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার ও সোমবার রাজধানী ঢাকার দুটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিএনপির অন্তত ১৩২ জন নেতাকর্মী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
প্রসিকিউটর শহীদ উদ্দিন বলেন, "বিচারক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ সোমবার চারটি পৃথক মামলায় বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীকে সাজা দিয়েছেন। তাদের অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।"
তিনি বলেন, 'দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপির প্রভাবশালী যুব শাখার সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, দুই সাবেক ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ও একজন জেলা শাখার সভাপতি রয়েছেন।'