নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে রায়ডাঙা গ্রাম। নয় নয় করে বেশ কয়েক হাজার মানুষ এই গ্রামে বসবাস করেন। তাদের অভিযোগ যে, স্থানীয়দের আপত্তি সত্ত্বেও একটি বাড়ির ছাদে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও কোনো আলোচনাতে বসেননি বাড়ির মালিক কিংবা ওই টাওয়ার নির্মাণকরি বেসরকারি সংস্থার ঠিকাদাররা। শেষে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক ও দুর্গাপুর নগর নিগমের পাশাপাশি কোকওভেন থানার দ্বারস্থ হন স্থানীয় রায়ডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু কাজ হয়নি বলে অভিযোগ, উল্টে মোবাইল টাওয়ার তৈরির কাজ দিব্বি চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এরই মধ্যে আজ দুপুরে ওই বাড়ির নিচে থাকা একটি সরকারি কুয়োর জলে স্নান করেছিলেন এলাকারই এক বাসিন্দা। আর ঠিক তখন বাড়ির ছাদের ওপর থেকে ইট ও একটি কাঠের পাটা নিচে পড়ে যায় আচমকা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই গ্রামবাসী। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসিরা, টাওয়ার নির্মাণকরি সংস্থার ঠিকাদারের এক কর্মীকে ঘিরে ধরে কাজ বন্ধর দাবি তুলে সরব হন তারা। বাড়ির মালিককেও তারা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ, পুলিশকে ঘিরে ধরেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন এলাকাবাসী। এরপর পুলিশের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশকে সামনে রেখে স্থানীয়দের আপত্তি সত্ত্বেও কাজ করছে ওই বাড়ির মালিক, আর প্রতিবাদ করলেই মিথ্যে মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনার জেরে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত রায়ডাঙা গ্রাম এলাকায়। কোনোভাবেই মোবাইলের টাওয়ার তৈরি করতে গ্রামের ভেতর দেওয়া যাবে না।