Panchayet Election 2023: ৩৫ বছর পর জেগে উঠল কংগ্রেস

৩৫ বছর পর জেগে উঠেছে হাত শিবির। এবার ফের জামুড়িয়ায় নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে চলেছে তারা। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, ফের একবার কংগ্রেসের ওপর ভরসা রাখছে মানুষ।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
congress jamuria

ফাইল ছবি

জামুড়িয়া: ৩ দশক পর ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে জাতীয় কংগ্রেস। ১৯৮৮ সালে শেষবারের মত গ্রাম সংসদ এ প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা ভক্তিপদ চক্রবর্তী। তারপর ৩৫টি বছর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে কোনদিনই প্রার্থী দিতে পারেনি তারা।

এবার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে প্রার্থী দিতে পেয়ে যথেষ্ট চাঙ্গা জামুড়িয়ার কংগ্রেস নেতা কর্মীরা।

জামুরিয়া বিধানসভায় দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সর্বমোট ১১২ টি গ্রাম সংসদ রয়েছে। ২৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি ও দুটি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে।

এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামপন্থীদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনটি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় কংগ্রেস।

publive-image

প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য ভক্তিপদ চক্রবর্তী জানান, ১৯৮৩ এবং ১৯৮৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তৎকালীন বাম ফ্রন্ট সরকারের সন্ত্রাসের কারণে তারা আর কখনও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী দিতে পারেনি। বর্তমানে জামুরিয়া মানুষ আবার কংগ্রেসের উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছে। তাই বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতার মধ্য দিয়ে চিছুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে দুটি আসন এবং ডোবরানা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তাছাড়াও জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর এবং ১৪ নম্বর আসনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভক্তিবাবু জানান, প্রার্থী পদ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ রয়েছে। তবে এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা ভালো ফল করবেন।

সিপিআইএম নেতা মনোজ দত্ত জানান, তারা কংগ্রেসের সঙ্গে কোন জোট করেননি। তবে কয়েকটি আসনে সমঝোতা হয়েছে তাদের।

সেই সমস্ত আসনে বামফ্রন্টের কোন প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে জানান মনোজ বাবু।