নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবীতে ধর্নাতে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সেই মন্তব্যের এবার পাল্টা জবাব দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, '' ২বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। গরিবের টাকা লুঠ করে বাংলার মন জয় করবেন ? আগামী ২৫ বছরের রূপরেখা তৈরি করেছে, এখন মানুষ কী খাবে ?২৫ বছর পর সব করলে, ২৪-এর বাজেট করে কী লাভ। রাজ্যের পাওনা আটকে রেখে সিএজি রিপোর্টের কথা বলছে। সিএজি রিপোর্টে সব মিথ্যা কথা রয়েছে। সব সংস্থা ও এজেন্সিকে পার্টি অফিস বানিয়ে দিয়েছে। অভিষেকের কাছ থেকে এমন সব নথি চেয়েছে এজেন্সি, তখন অভিষেক জন্মায়নি। ধর্ম আর রাজনীতি এক নয়, আমরাও দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করেছি। আমরা কখনও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। ইসকন মন্দিরের জন্য ৭০০ একর জমি দিয়েছি। ২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। গরিবের টাকা লুঠ করে বাংলার মন জয় করবেন ? কাজ করিয়েও কেন টাকা দেননি ? জেলে যাওয়া উচিত। এখানে কিছু ঘটলেই টিম পাঠিয়ে দিচ্ছে । বলছে, ঘরে ঘরে জল দিয়েছে, ৭৫ শতাংশ কাজ করে রাজ্য। ৪০ শতাংশ টাকাও দেয় রাজ্য, আর প্রকল্পের নামে কেন্দ্রের বিজ্ঞাপন। ''
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে, " ১০০ দিনের কাজের বকেয়া শোধ করতে ৭০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। বাংলার ক্ষমতা যে হাত থেকে যাচ্ছে তা তো নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তাই ক্ষমতা যাওয়ার ভয়ে পাগল হয়ে গিয়েছে পিসি ভাইপো। "
শুভেন্দুর অভিযোগ, ' অর্থ দফতরের লোকেরা সকালে আমাকে নোট পাঠিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ৭ তারিখের আগে একটা অ্যাডিশনাল লোনের সাত হাজার কোটি টাকা প্রেয়ার করতে বলেছেন। সাত হাজার কোটি টাকা অ্যাডিশনাল লোনের প্রেয়ার করার জন্য বাজেট সেলকে বলেছেন। এই লোনটা তিনি নেবেন। এর ক্ষতি হলো রাজ্যের। ঋণের পরিমাণ বাড়বে, আগামী অর্থবর্ষে বেতন থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে গ্রাচুইটি ,প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশনার্স এর টাকা এবং যে স্কুলগুলো রাজ্য সরকার নিজেরা চালায় বা ম্যাচিং গ্ৰ্যান্ট দিতে হয় যেমন ৯৫১ কোটি টাকা পরশুদিন এসেছে জল জীবন মিশনের। সেই ৯৫১ কোটি টাকায় ভারত সরকারের জলশক্তি দপ্তরের শর্ত দিয়েছে যে সমান ৯৫১ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ওই সেম অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। তারপর কেন্দ্রের ৯৫১ কোটি টাকায় আপনি হাত দিতে পারবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে রসাতলে পাঠানোর জন্য অর্থনৈতিক অবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ঋণ নিচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের বকেয়া নয়, ঠিকাদারদের ভুয়ো বিল শোধ করা অগ্রাধিকার মমতার সরকারের কাছে। '
১০০দিনের কাজের টাকা নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন অভিষেক
কেন্দ্রের বকেয়া টাকার দাবীতে রাজ্য সরকার।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবীতে ধর্নাতে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সেই মন্তব্যের এবার পাল্টা জবাব দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, '' ২বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। গরিবের টাকা লুঠ করে বাংলার মন জয় করবেন ? আগামী ২৫ বছরের রূপরেখা তৈরি করেছে, এখন মানুষ কী খাবে ?২৫ বছর পর সব করলে, ২৪-এর বাজেট করে কী লাভ। রাজ্যের পাওনা আটকে রেখে সিএজি রিপোর্টের কথা বলছে। সিএজি রিপোর্টে সব মিথ্যা কথা রয়েছে। সব সংস্থা ও এজেন্সিকে পার্টি অফিস বানিয়ে দিয়েছে। অভিষেকের কাছ থেকে এমন সব নথি চেয়েছে এজেন্সি, তখন অভিষেক জন্মায়নি। ধর্ম আর রাজনীতি এক নয়, আমরাও দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করেছি। আমরা কখনও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। ইসকন মন্দিরের জন্য ৭০০ একর জমি দিয়েছি। ২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। গরিবের টাকা লুঠ করে বাংলার মন জয় করবেন ? কাজ করিয়েও কেন টাকা দেননি ? জেলে যাওয়া উচিত। এখানে কিছু ঘটলেই টিম পাঠিয়ে দিচ্ছে । বলছে, ঘরে ঘরে জল দিয়েছে, ৭৫ শতাংশ কাজ করে রাজ্য। ৪০ শতাংশ টাকাও দেয় রাজ্য, আর প্রকল্পের নামে কেন্দ্রের বিজ্ঞাপন। ''
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে, " ১০০ দিনের কাজের বকেয়া শোধ করতে ৭০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। বাংলার ক্ষমতা যে হাত থেকে যাচ্ছে তা তো নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তাই ক্ষমতা যাওয়ার ভয়ে পাগল হয়ে গিয়েছে পিসি ভাইপো। "
শুভেন্দুর অভিযোগ, ' অর্থ দফতরের লোকেরা সকালে আমাকে নোট পাঠিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ৭ তারিখের আগে একটা অ্যাডিশনাল লোনের সাত হাজার কোটি টাকা প্রেয়ার করতে বলেছেন। সাত হাজার কোটি টাকা অ্যাডিশনাল লোনের প্রেয়ার করার জন্য বাজেট সেলকে বলেছেন। এই লোনটা তিনি নেবেন। এর ক্ষতি হলো রাজ্যের। ঋণের পরিমাণ বাড়বে, আগামী অর্থবর্ষে বেতন থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে গ্রাচুইটি ,প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশনার্স এর টাকা এবং যে স্কুলগুলো রাজ্য সরকার নিজেরা চালায় বা ম্যাচিং গ্ৰ্যান্ট দিতে হয় যেমন ৯৫১ কোটি টাকা পরশুদিন এসেছে জল জীবন মিশনের। সেই ৯৫১ কোটি টাকায় ভারত সরকারের জলশক্তি দপ্তরের শর্ত দিয়েছে যে সমান ৯৫১ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ওই সেম অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। তারপর কেন্দ্রের ৯৫১ কোটি টাকায় আপনি হাত দিতে পারবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে রসাতলে পাঠানোর জন্য অর্থনৈতিক অবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ঋণ নিচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের বকেয়া নয়, ঠিকাদারদের ভুয়ো বিল শোধ করা অগ্রাধিকার মমতার সরকারের কাছে। '