অভিষেকের চ্যালেঞ্জ! কি করবে ইডি? নাকি ভূমিকা পালন করবে দিল্লি পুলিশ?

তবে কি দিল্লিতেই গ্রেফতার হতে চলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন বিরোধীরায়।  

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
Screenshot 2023-10-02 125843.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ৩ অক্টোবর ইডি ডাক পাঠিয়েছিল অভিষেককে। মূলত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে হাজিরা হতে বলা হয়েছিল। তবে অভিষেক সাফ ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব না। কেননা ২ ও ৩ অক্টোবর তাঁদের দলের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচী রয়েছে দিল্লিতে। সেখানে নেতৃত্বই দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অতএব এই দু’দিন তাঁর উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়।

অভিষেকের এই প্রতিক্রিয়ার পর নতুন করেই সরব হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। ইডিকে যেরকম তুলোধনা করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেরকমই বিরোধীদের নিশানা থেকেও বাদ যাননি যুবরাজ। হাজারও তীর্যক আক্রমণকে দূরে সরিয়ে রেখে দিল্লিতে পা রেখেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আজ রয়েছে তাঁদের রাজঘাটে ধর্না কর্মসূচী। আর আগামীকাল রয়েছে যন্তর-মন্তরে অবস্থান এবং নতুন সংসদ ভবন অভিযান। ফলে রাজনীতির আঙিনায় আগামীকাল হচ্ছে অত্যন্ত হাইভোল্টেজ দিন।

এমন অবস্থায় একটা বিষয় ভীষণ চর্চিত হচ্ছে। অভিষেক রাজ্যের ইডি দফতরকে কড়া জবাব দিয়ে ইডির সদর দফতর দিল্লির নাকের ডগাতেই নিজের কর্মসূচী পালন করবেন বুক ঠুকে। যে জায়গা গুলো ইতিমধ্যেই কর্মসূচী স্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই সবকটি স্থানেই রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন। যেমন –

- আজ রাজঘাটে ভিভিআইপিদের উপস্থিতি বেশি বলে সেই চত্বরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ভিভিআইপিরা বেরিয়ে গেলেও রাজঘাটে সবাই মিলে ধর্নায় বসতে পারবেন না। হাতে গোনা কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়া।

- অন্যদিকে, যন্তর মন্তরে হাজার জনের বেশি অবস্থানে বসতে পারবেন না।

- আবার নতুন সংসদ ভবন অভিযান, যা এমনিতেই রেস্ট্রিক্টেড এরিয়া, সেখানেও বিক্ষোভ অভিযান করা যায় না। 

- এদিকে, কৃষি ভবনে বকেয়া আদায়ের দাবিতে যে অভিযান সেখানেও রয়েছে নিয়ম-কানুনের বেড়াজাল। কৃষি ভবনের বাইরে ২৫ জনের বেশি মানুষ জমায়েতেরও অনুমতি মিলবে না। ফলে সর্বদিক থেকে নিয়ম কানুন রয়েছে একাধিক। 

এবার যদি অভিষেক অ্যান্ড টিমের দিকে দেখা যায়, এবার তাঁদের স্ট্র্যাটেজি প্রাপ্য আদায় করার লড়াই। প্রায় ৫ হাজার মানুষকে বাসে করে নিয়ে আসা হয়েছে দিল্লিতে। সকলের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে দিল্লির আম্বেদকার ভবনে। সেখান থেকেই শুরু হবে দলের কর্মসূচী।

আজ দুপুর ১ টায় রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হবে তৃণমূলের কর্মসূচী। থাকবেন বহু সমর্থক, দলীয় কর্মীরা এবং সর্বপরী প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত মানুষরা। আর এই সমস্ত কর্মসূচীর মূল মাথায় থাকছেন তৃণমূলের যুবরাজ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন তারা।

তবে এই মুহুর্তে যে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে, তা হল পুলিশের অনুমতি ছাড়ায় পালিত হবে এই সকল কর্মসূচী। যার জন্যে ইতিমধ্যেই রাজঘাটের সামনে মোতায়েন হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স, সিআরপিএফ। যেকোনও উত্তেজনা মূলক পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে তাঁদের। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, আইন বিরুদ্ধ কাজ করলে, কোনও ধরনের উত্তেজনা ভিআইপি জোনে ছড়ালে সেক্ষেত্রে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারে। আটক করতে পারে যেকোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যে কাউকে।

আর আজ ও কাল যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে তৃণমূলের তরফে, তাহলে সেক্ষেত্রে নিস্তার পাবেন না অভিষেকও। তবে কি দিল্লিতেই গ্রেফতার হতে চলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন বিরোধীরায়।