বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট করল হাতির দল, ক্ষোভে কৃষকরা

মিনিপাম্প ভেঙে তছনছ করে হাতির দল।

author-image
Adrita
New Update
গ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দ্রকোনা: চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটের অধিন অযোধ্যা, ধামকুড়িয়া, পানশিউলি, শোলাগেড়া সহ বেশকিছু জায়গায় মাঠে বিঘার পর বিঘা জমির আলুর পাশাপাশি সদ্য লাগানো ধান জমি ও সবজি নষ্ট করেছে ২৪ টি হাতির দল। রাতের অন্ধকারে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গল থেকে হাতির দল বেরিয়ে পানশিউলি, শোলাগেড়া হয়ে স্থানীয় মানুষদের বাধায় ধামকুড়িয়া মাঠ হয়ে চলে যায় পাশের অযোধ্যার মাঠে সেখানে রাতে বিঘার পর বিঘা আলু জমিতে দাঁড়িয়ে থেকে আলু খাওয়া থেকে আলু জমি নষ্ট করে পুনরায় ধামকুড়িয়া জঙ্গলে প্রবেশ করে। অযোধ্যা এলাকায় মাঠে থাকা পলাশ পান নামের এক কৃষকের সেচের জন্য একটি মিনিপাম্প ভেঙে তছনছ করে হাতির দল।

বন দপ্তর জানায়,হাতির পাল বর্তমানে ধামকুড়িয়া বিটের ধামকুড়িয়া জঙ্গলে রয়েছে। ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে না চাইলেও বন দপ্তর জানিয়েছে, হাতির দলকে আপাতত ড্রাইভ করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। যেসকল চাষীদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমরা সেগুলিও নজরে রেখেছি। হাতি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হলেই ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বন দপ্তর চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে সার্ভে করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে। হাতিকে নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। বন দপ্তরের তরফে একাধিক বার ড্রাইভ করে অন্যত্র হাতির দলকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলেও ফসল বাঁচানোর তাগিদে স্থানীয়দের ব্যারিকেড বা বাধায় হাতির পাল পুনরায় পুরানো রুট ধরে কখনো গড়বেতার আধারনয়ন বিট আবার কখনো পাশের চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটে প্রবেশ করছে।

হাতির দল সন্ধ্যা হলেই চাষের জমিতে নেমে চাষের ফসল নষ্ট করছে দৈনিক, চাষীদের অভিযোগ বন দপ্তর হাতির দলকে অন্যত্র সরাতে না পারায় প্রতিদিনই কোনো না কোনা এলাকায় চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করছে। বন দপ্তরের উপরে রীতিমতো ক্ষোভ বাড়ছে চাষীদের। ক্ষয়ক্ষতির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং দ্রুত হাতির দলকে এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক চাইছেন কৃষকরা। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এখন দেখার হাতির দলকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বন দপ্তর কি ভূমিকা নেয়। যদিও এবিষয়ে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক জানান," বন দপ্তর চেষ্টা করছে হাতি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার,আমরা বন দপ্তরের সাথে কথা বলে যোগাযোগ রেখে চলেছি।ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ব্লক প্রশাসনও নজর রেখেছে যাতে চাষীরা ক্ষতিপূরণ পায় তা নিয়ে বন দপ্তরের সাথে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। " 

Add 1