নিজস্ব সংবাদদাতা: রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এবার গ্রেফতার করা হল আরও ৬ জনকে। যাদবপুর কাণ্ডে সাতসকালেই চাঞ্চল্যকর খবর আসে। বর্তমান ও প্রাক্তনী মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ৬ জনকে। যার জেরে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর (student death case) ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৯। এর আগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
যা জানা যাচ্ছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ আরিফ, যাদবপুরের (Jadavpur University) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ধৃত মহম্মদ আসিফ আজমল যাদবপুরের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ধৃত অঙ্কন সর্দার, যাদবপুরের (Jadavpur University) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ধৃত ৩ প্রাক্তন পড়ুয়ার নাম সপ্তক কামিল্যা, অসিত সর্দার ও সুমন নস্কর।
ধৃত মহম্মদ আরিফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। যা জানা যাচ্ছে, সে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। আর ঘটনার পরই সে কাশ্মীরে চলে যায়। এছাড়া, ধৃত মহম্মদ আসিফ আজমল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ধৃত অঙ্কন সর্দার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ঘটনার পরই হস্টেল ছেড়েছিলেন ধৃতরা। বাড়ির লোকেশন ট্র্যাক করেই ধৃতদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আদালতে পেশ করা হচ্ছে এদেরকে।
প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভালো গতকাল যে গ্রুপ চ্যাট ভাইরাল হয়েছিল, তাতেই আরিফের নাম উঠে এসেছিল। আর সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তাঁর কাছে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
গত ১০ অগস্ট হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু (student death case) হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। নদীয়ার স্বপ্নদীপ চলতি বছরেই যাদবপুরে (Jadavpur University) বাংলা বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিল। আর তারপরই অল্প কিছুদিন হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল চত্বরেই প্রাণ হারাল সে। তাঁর এই মৃত্যু জন্ম দিয়েছে একাধিক প্রশ্নের। যে কলেজ র্যাগিং সিস্টেম প্রায় চাপা পড়ে গিয়েছিল বাংলার বুকে, তা ফের একবার প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে এই ঘটনার পর। খুনের ধারায় মামলা রুজু করেছে স্বপ্নদীপের পরিবার। আর সেই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াতেই গ্রেফতার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই (Jadavpur University) বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ারা।