বড় খবর: ভয়ঙ্কর সাগর, ডুবল ট্রলার, ছিলেন ১৭ মৎস্যজীবী

গভীরে ঢেউয়ের জেরে উলটে যায় ট্রলারটি। সেই সময় ট্রলারে ছিলেন, ১৭ জন মৎস্যজীবী। ডুবন্ত ট্রলার থেকে বাঁচার জন্য মরিয়া চিৎকার করতে থাকেন মৎস্যজীবীরা।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
56b074c5-9777-4cd9-a5b7-9c9f193e58bb.jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা। বঙ্গোপসাগরে আবারও ডুবল মৎস্যজীবীদের ট্রলার। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা থাকার পর সোমবার গভীর রাতে ঘাটে ফিরছিল এফবি গঙ্গাময়ী নামের ট্রলারটি। জানা যাচ্ছে, সেই সময় সমুদ্র উত্তাল ছিল। পাথরপ্রতিমার সীতারামপুর থেকে আরও ২৫ কিলোমিটার গভীরে ঢেউয়ের জেরে উলটে যায় ট্রলারটি।

সেই সময় ট্রলারে ছিলেন, ১৭ জন মৎস্যজীবী। ডুবন্ত ট্রলার থেকে বাঁচার জন্য মরিয়া চিৎকার করতে থাকেন মৎস্যজীবীরা। বরাত জোরে সে সময়ে পাশেই ছিল আরও একটি ট্রলার। ওই ট্রলারের সদস্যরা ১৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। জলে ডুবে মৎস্যজীবীরা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে কাকদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য আরও ট্রলার পাঠানো হয়েছে।

গত ৫ দিন আগে কাকদ্বীপ ঘাট থেকে ইলিশ ধরার জন্য বেরিয়েছিল এই ট্রলারটি। কয়েকদিন ইলিশ ধরার পর আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে ঘাটে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঠিক তিনদিন আগেই ইলিশের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার নিয়ে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। গঙ্গাসাগরের কাছে ওই ট্রলারটি ডুবে গিয়েছিল। ওই ট্রলারে আট জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়। হতাহতের কোনও খবর নেই। সেক্ষেত্রেও পাশের ট্রলারের মৎস্যজীবীদের সহায়তায় প্রাণে বাঁচেন তারা।

ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জন্য উপকূল সংলগ্ন এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ বেড়েছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ তারপরও নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে মাছ ধরতে যাওয়ার কাজ। আর এতেই প্রতি নিয়ত ঘটে চলেছে বিপদ।