১০০ দিনের অর্থ বরাদ্দে হাত নয়, মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার হুঁশিয়ারির পরেও থোড়াই কেয়ার

সবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। 

author-image
Adrita
New Update
দফ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ ১০০ দিনের অর্থ বরাদ্দে হাত নয়,মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার হুঁশিয়ারির পরেও থোড়াই কেয়ার এলাকার নেতৃত্বদের। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসের (০৭.০২.২০২৪) বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৫ নম্বর সারতা অঞ্চলের বনাই গ্রামে ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে ১০০ দিনের টাকা নিয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সবং বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। 

ওই দিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া সবং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু কালাম বক্স সহ এলাকার সমস্ত নেতৃত্বদের সতর্ক করে বলেন, ''  একশো দিনের কাজের টাকা সাধারণ মানুষের একাউন্টে ঢোকার পর,কেউ যেন রাত্রে গিয়ে ধমক দিয়ে হাত না পাতে। সতর্ক হোন। এই টাকা নিয়ে কেউ যদি গরিব মানুষের সঙ্গে অসভ্যতামি করে এসপি সাহেবকে দিয়ে এরেস্ট করিয়ে দেব। একদম গ্রেপ্তার হয়ে যাবেন, সবাই শুনে রাখুন। মমতা ব্যানার্জি চোখের জল ফেলে টাকা যোগাড় করবে,আর আমাদের মধ্যে কেউ যদি এদিক-ওদিক করে তাহলে কিন্তু গ্রেফতার হবেন। '' 

কিন্তু খোদ মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও ঘুম ভাঙ্গলো না এলাকার পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে নেতৃত্বদের। এবার ১০০ দিনের জব কার্ড রেনুয়াল করে দেওয়ার নাম করে প্রতিটি পরিবারের জব কার্ড হোল্ডারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৪ নম্বর দশগ্রাম অঞ্চলের নানকার (৬৩ নং) বুথ এলাকায়। 

ছবিতে দেখা গেছে ত্রিপল পেতে বসে রয়েছে উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব-বুথ কর্মীরা। ত্রিপলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক জব কার্ড। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে জব কার্ড হোল্ডাররা। টাকা গোছাতে ব্যস্ত এক ব্যক্তি। জব কার্ড নিতে ব্যস্ত অন্য একজন। স্থানীয়দের অভিযোগ, জব কার্ড রেনুয়াল করে দেওয়ার নাম করে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছে নেতৃত্বরা। আবার কেউ কেউ টাকার কথা শুনে মুখ ফিরিয়েও বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এই ঘটনায় সবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। 

তবে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নানকার বুথ এলাকার সভাপতি বিনন্দ মন্ডল। তিনি বলেন, '' আগে যিনি প্রধান ছিলেন তখন কিছু জনের জব কার্ড রেনুয়াল হয়ে গিয়েছিল। এখন আমাদের অঞ্চল থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে যাদের জব কার্ড রেনুয়াল করা হয়নি, তাদের টাকা কালেকশন করার। পুরোটাই আমরা অঞ্চলের নির্দেশে করেছি। এ ব্যাপারে সবং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অরুনিমা সেনগুপ্ত বলেন, ইতিমধ্যে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ আমরা দেখেছি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '' 

add 4.jpeg