নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শুরুটা শুরু হয়েছিল সেই ২০০৮ সালে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে। সেই থেকেই বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে এবং শেষে বিবাহবিচ্ছেদ। রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul) আর প্রিয়াঙ্কা সরকারের (Priyanka) প্রেমের উপাখ্যান কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যের থেকে কম উত্তেজক নয়। চিরদিনই-র শ্যুটিংয়েই একে-অপরকে মন দিয়ে বসেন তারা। ২০১০ সালে বিয়ে আর ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ। এর মধ্যেই তাদের ছেলে সহজের জন্ম হয়।
বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সেই থেকে চলছিল একটা দীর্ঘ আইনি লড়াই। দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকতেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রিয়ঙ্কা সরকার। যাতে রাশ টেনেছেন দুজনেই ২০২২ সাল নাগাদ। রাহুলের সমাজমাধ্যমে আসতে শুরু করে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ছবি। ছেলে সহজের সঙ্গে একটা দুজনের একটা ছবি শেয়ার করে অভিনেতা সেইসময় লিখেছিলেন ‘নতুন শুরু’।
এরপর ২০২৩ সালে জানা যায়, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা আর চালাচ্ছেন না এই দম্পতি। ভাঙতে বসা সম্পর্ককে দিয়েছেন নতুন একটা সুযোগ। রাহুল জানিয়ে দেন সকক্কলকে, ‘আমরা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আবার একত্রিত হয়েছি।’ মিডিয়াকে বলেন, ‘আমরা একসাথে থাকছি। আমি খুব শীঘ্রই প্রিয়াঙ্কার বিল্ডিংয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনছি। উভয় পক্ষের কিছু আইনি জটিলতা ছিল, যা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
তবে হঠাৎ সামনে এসছে প্রিয়াঙ্কার পিঠে লেখা 'A' ট্যাটুর কাহিনি (Tattoo Secret)। আসলে ছেলের নামের আদ্যাক্ষর S দিয়ে। অন্যদিকে বরের নাম শুরু হয় ‘R’ দিয়ে। এমতাবস্থায় ‘A’ দিয়ে লেখা ট্যাটু কার জন্য সেটাই ভাবছেন ভক্তরা। জানেন কি এই ট্যাটুর আসল গল্প ? টলিউডে এখন এটাই 'হটকেক'। এই ট্যাটুর 'A' অক্ষর কি 'অরুণোদয়' ? এটি আসলে রাহুলের প্রকৃত নাম। তাই হতে পারে এই নামই তিনি তার পিঠে ট্যাটু করিয়েছেন। এখন জল্পনা এই যে তাহলে কি ফের একবার পুরোনো সম্পর্ককে ফিরে পেতে চান প্রিয়াঙ্কা ? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও গল্প ? উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে তার ফ্যানেরা।
এক্ষেত্রে বলতে হয়, রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে গ্ল্যামার দুনিয়ায় নাম লিখিয়েছিলেন রাহুল (Rahul Banerjee) প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Sarkar)। আজ থেকে বছর ১৫ আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ আজও দর্শকদের মনের মণিকোঠায় সযত্নে তোলা রয়েছে। আর সেই সাথে রয়েছে রাহুল পল্লবীর নাম। যা দর্শকদের মনে আজও অমলিন হয়ে আছে।