আরেকটু হলেই স্কুল থেকে তাড়ানো হত, কিন্তু কেন ?

ক্লাস টেনে পড়তে পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিলেন অজানা বিল্ডিং-এ, আরেকটু হলেই স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হত তাকে।

author-image
Adrita
New Update
দ

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে নামী সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। খ্যাতির শীর্ষে থেকেও শিকড়ের সাথে জুড়ে রয়েছেন গায়ক। জিয়াগঞ্জে বড় হওয়া অরিজিতের ধ্যানজ্ঞান সবটাই মুর্শিদাবাদকে ঘিরে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সেখানেই থাকেন অরিজিৎ। কাজের প্রয়োজনে অবশ্য সারা বিশ্ব ঘোরেন। 

hiren

ছোটবেলায় কিন্তু কম বদমাইশ ছিলেন না অরিজিৎ। স্কুলে পড়তে অনেক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যার মধ্যে একটি ঘটনার জেরে চরম লজ্জার মুখে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তারসেম মিত্তলের পডকাস্টে হাজির হয়ে স্কুল জীবনের এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন গায়ক। তখন ক্লাস টেনের ছাত্র অরিজিৎ। তার কপালে জুটেছিল ‘চোর' অববাদ। বন্ধুর কথা শুনে মহাফ্যাঁসাদে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়িতেও মারধরের মুখে পড়েন ‘গেরুয়া’ গায়ক। 

কী ঘটেছিল? অরিজিৎ সাংবাদিকদের জানান, ‘ তখন ক্লাস টেনে পড়ি। ইলেভেনের স্টুডেন্টদের জন্য ল্যাবের সুবিধা থাকত। আমাদের বড্ড ইচ্ছে হত, ল্যাবে ঢোকবার। দু-একদিন ডেকেও ছিল, খুব মজা লেগেছিল। টেস্টটিউব আরও সব দেখে। কিন্তু তারপর বন্ধ হয়ে গেল। এক বন্ধু ছিল, নাম নেব না। এসে বলল- ভাই, চল পার্সোনাল একটা ল্যাব পেয়ে গিয়েছি। নিজের ল্যাব। সাইকেল নিয়ে অনেকদূর গেলাম, জঙ্গলের ভিতর দিয়ে। এরপর দেওয়াল টপকে ভিতরে গেলাম। ভাবছি ল্যাব কোথায়? খানিক যাওয়ার পর একটা বিশাল বড় রুমে ঢুকলাম। ওখানে একটা বিরাট টেবিল, তার উপর বড় একটা লাইট, অনেক সরঞ্জাম। বিরাট বড় ইঞ্জেকশন হয় না, গরুদের যেগুলো দেওয়া হয় না, সেগুলো হাতে পেয়ে আমরা পিচকারির মতো জল ভরে খেলতে শুরু করলাম। ' 

পুরোনো স্মৃতি ফিরে দেখতে গিয়ে অরিজিতের ঠোঁটের কোণে হাসি। এরপর বললেন, ‘ আওয়াজ হচ্ছিল সেটা শুনে লোকজন চলে আসে আর কান ধরে আমাদের বাইরে নিয়ে যায়। তারপর হেডমাস্টারকে সোজা ফোন করে- আর বলে এরা চোর। কাল রাতে যে প্লেট চুরি হয়েছে, এরাই নিয়েছে’। ওই বিল্ডিং আদতে ছিল লন্ডন মিশন হাসপাতাল। তালাবন্ধ সেই হাসপাতাল আপাতত খোলার চেষ্টায় রয়েছেন অরিজিৎ। সেই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকেই বদমাইশি চালাচ্ছিলেন তিন বন্ধু। 

প্রধান শিক্ষককে ডেকে অরিজিৎ ও তার দুই বন্ধুকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, এমনকী পুলিশে দেওয়ার কথা পর্যন্ত বলেছিল। হয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন অরিজিৎ, শিওরে মাধ্যমিক এমন সময় স্কুল থেকে তাড়ানো হলে ভবিষ্যত অন্ধকার। এরপরেও রেহাই মেলেনি। গোটা স্কুল কলোনিতে লোকজন ডেকে ডেকে অরিজিৎ-কে নিয়ে ফিসফাস করছিল, 'এই চুরি করেছে' বলে। ঘটনার ঘনঘটা এতেও থামেনি। বাড়ি ফেরার পর উত্তম-মধ্যম ধোলাই খান বাবার কাছে। অরিজিৎ বলেন, ‘ওই জায়গার যিনি ইন চার্জ ছিলেন, তিনি বাবাকে চিনতেন। নিশ্চিতভাবেই আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছিলেন। তার ফল বাড়িতে এসে পেয়েছিলাম। '  

hiring.jpg