নিজস্ব সংবাদদাতা : যে কুমোর পাড়ার শিল্পীদের হাতে সেজে ওঠে উমা, সেই কুমোর পাড়ার শিল্পীদের অবস্থা সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল মানুষ? আধুনিকতার যুগে কদর বেশি শৌখিন জিনিসের। মাটির তৈরি জিনিসের কদর কই? বিক্রি না হলে বানিয়েই বা কি লাভ? এক পিন্ড মাটি দিয়ে কত কি গড়া যায়।কুমোররা মাটিকে গড়ে নিতে পারেন তার নিজের মনের মতো । তার ভাবনাকে প্রকাশ করেন মাটিতে আকার দেওয়ার মাধ্যমে। অথচ আজ আর কেউ পয়সা খরচ করে মাটির জিনিস কিনতে চান না। ফলে হারাতে বসেছে মৃৎশিল্প। এক কথায় বলা যায় মৃত প্রায় অবস্থা। মাটিকে গুরুত্ব দিয়ে এবার পুজোয় বোধোদয়ের বার্তা নিয়ে হাজির হতে চলেছে হরিদেবপুরের বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। তারা মনে করে,মৃৎশিল্প সমাজের আধার সৃষ্টির মূল উৎস তাই এটির সংরক্ষণ এবং পর্যাপ্ত সম্মান প্রদান সমাজের দায়িত্ব। মৃৎ শিল্পীদের মাটির জিনিস গড়ার সেই স্তব্ধ চাকায় গতি ফেরানো উচিত। এই উদ্যোগ নিতে হবে আমাদেরই। ৫৮ তম বর্ষে থিম মৃত্তিকার মধ্য দিয়ে এমনই ভাবনা তুলে ঝরতে চাইছে হরিদেবপুরের বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। শিল্পী বিকি মজুমদারের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠছে মণ্ডপ। পুজোর বাজেট এবছর ১৯ লক্ষ টাকা।