নিজস্ব প্রতিবেদন : পূজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। কলকাতায় নামিদামী ক্লাবগুলোর পূজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। অক্টোবরের দুই তারিখ মহালয়া। ইতিমধ্যে কলকাতা শহর সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইতে। কলকাতার একাধিক জনপ্রিয় পুরো কমেডি গুলির মধ্যে অন্যতম হলো '৭৪ পল্লী সর্বজনীন'। সম্প্রতি ANM News এর পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হল '৭৪ পল্লী সর্বজনীন' ক্লাবের পূজোর প্রস্তুতিতে।
'৭৪ পল্লী সর্বজনীন' ক্লাবের একজন বিশেষ সদস্য সৈকত সাহা আমাদের সাথে শেয়ার করে নিল তাদের ক্লাবের পূজোর সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য। এবারের ৬৮ তম বর্ষে '৭৪ পল্লী সর্বজনীন' ক্লাবের থিম কি হতে চলেছে জানতে চাওয়া হলে সৈকত সাহা জানান, এবছরের পূজোর থিম 'ডাকে'। অর্থাৎ ভারতের প্রথম পোস্ট অফিস খেজুরিতে অবস্থিত ছিল। এখন সেই বিল্ডিং সম্পূর্ণ বিলুপ্তের পথে। আধুনিকতার যুগে মানুষ ভুলতে বসেছে চিঠির আদান প্রদান। সেই ভাবনাকেই ৭৪ পল্লী সর্বজনীন এ বছর তুলে ধরছে তাদের পুজোর থিমে। এর জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
এবারের পুজোর প্রতিমা শিল্পী, আলোকসজ্জা, থিম আর্টিস্ট সম্বন্ধে জানতে চাইলে সৈকত বাবু জানান, থিম আর্টিস্টে রয়েছে পূজা মাইতি এবং দ্বৈপায়ন দাস। প্রতিমা শিল্পী দীপঙ্কর পাল এবং আলোকসজ্জায় রয়েছেন সৌম্যদীপ। নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সৈকত বাবু জানান, সমস্ত ফিমেল ভলেন্টিয়াররা থাকবে নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। এছাড়া পূজো মণ্ডপের বাইরে ও ভেতরে সবমিলিয়ে ১৭ টা সিসিটিভি থাকবে যেগুলো পূজা মন্ডপে আসা প্রত্যেকটি মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে।
সর্বজনীন পুজার উদ্বোধন প্রতিবছর দ্বিতীয়ার দিন হয়ে থাকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পূজোর উদ্বোধন করে থাকেন। তবে সৈকত বাবু জানান, "এই বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজোর উদ্বোধন করবে কিনা তা স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। তবে আশা রাখা হচ্ছে উনিই করবেন। যদি নাও পারেন তবুও দ্বিতীয়ার দিন থেকে জনসাধারণের জন্য পুজো মণ্ডপ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।