নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ কয়েক মাস যাবৎ এক গভীর ব্যাথা বুকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলার মানুষ। একটা মেয়ের ওপর নারকীয় অত্যাচার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে হাজারও। তরুণী চিকিৎসকের সেই নির্মম অত্যাচার মুখে তুলে দিয়েছে প্রতিবাদের ভাষা। আজ আমরা প্রত্যেকে নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকলেও, প্রতি মুহুর্তে মনে মনে বলে চলেছি ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। বিচারটা আসলে শুধু ওই মেয়েটির জন্যে নয়, আপামোড় নারী জাতি তাঁর ওপর ওঠা সেই ভয়ঙ্কর চোখ গুলো, সেই ভয়ঙ্কর ছোঁয়া গুলোর বিরুদ্ধে বিচার চায়। বিচার চায় তাঁর ওপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধেও।
আর এই সবের মাঝেই আসতে চলেছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। কিন্তু এবছর যে অন্য চার-পাঁচটা বছরের থেকে আলাদা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই যে থিমেও আলাদা বার্তা থাকবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই বার্তায় এবার দিতে চলেছে উত্তরের টালা বারোয়ারি ক্লাব। এবছর তাঁদের পুজো ১০৪তম বর্ষে পদার্পণ করলো। আর এই বছরই কাকতালীয় ভাবে চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী। তাই ১০৪-১০৪ মিলে গিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন সংসার। এবছর তাঁদের পুজো থিম ‘হীরা মানিক জ্বলে’।
সম্পূর্ণ মণ্ডপ জুড়ে থাকছে সত্যজিৎ রায়েরই ভিন্ন সিনেমার প্রেক্ষাপট, ডায়লগের শৈল্পিক বুনোন। কীভাবে তাঁর কালজয়ী সিনেমা গুলি বাস্তব সমাজকে ব্যাখ্যা করেছে সেই সবই ফুটিয়ে তোলা হবে এই মণ্ডপ জুড়ে। আর অবশ্যই থাকছে এই অস্থির সময়ের জন্যে কিছু বার্তা।
তাই ক্লাব সদস্যরা বলছেন, এবছর টালা বারোয়ারি ‘উত্তরের উত্তর’ দেবে। আসলে এই কঠিন সময়ে বাংলার প্রায় সকল মানুষই চান আরও এক ‘উদয়ন পন্ডিত’ কে, চান আরও এক সত্যজিৎ রায়কে।