নিজস্ব প্রতিবেদন : সর্বজনীন এবার সত্যিই বিশ্বজনীন। বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় স্থান, সুউচ্চ টাইমস স্কোয়্যার এবার দেবীবন্দনায় সিক্ত হয়েছে। এটি প্রথমবারের মতো আমেরিকার হিন্দুরা এত বড় জায়গায় দুর্গাপুজো (Probashe Durga Puja) আয়োজন করলেন। শুধু দুর্গাপুজোই নয়, একসঙ্গে পালিত হয়েছে দশেরা এবং নবরাত্রিও। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রবাসী হিন্দুরা একত্রিত হয়ে উৎসবে মেতে উঠলেন।
এটি কেবল শারদোৎসবের আনন্দই নয়, বরং আমেরিকার মাটিতে হিন্দু ধর্ম পালনের সংস্কৃতি বেশ পাকাপোক্ত হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। আমেরিকায় দুর্গাপুজো নতুন কিছু নয়; কয়েক দশক ধরে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে এই উৎসবের আয়োজন হয়ে আসছে। প্রবাসীরা সাধারণত টুকরো টুকরো করে পুজোর আয়োজন করেন এবং সপ্তাহান্তের ছুটিতে চারদিনের পুজোর আনন্দ উপভোগ করেন। তবে, গত বছর বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ সংস্কৃতির তকমা পাওয়ার পর প্রবাসে পুজোর গতিপ্রকৃতি বদলে গেছে। এখন দুর্গাপুজোয় বিদেশিরাও শামিল হচ্ছেন। টাইমস স্কোয়্যারের মতো একটি জায়গায় এই পুজো হলে তা গোটা বিশ্বের নজর কাড়ে।
৫ ও ৬ অক্টোবর নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারে অনুষ্ঠিত এই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছেন প্রবাসী হিন্দুরা। বৃহৎ পরিসরে পালিত হয়েছে দশেরা ও নবরাত্রি। প্রতিমাগুলোর সাজে ছিল ডাকের ছোঁয়া, তবে চালচিত্র ছিল ভিন্ন। তামাটে রঙের চালচিত্রে শ্বেতশুভ্র সপরিবার দুর্গা দুদিন ধরে পুজো পেলেন মার্কিন মুলুকের প্রবাসী হিন্দুদের হাতে। এই পুজো দেখে টাইমস স্কোয়্যারের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে ছিলেন বিশ্ববাসী। অনেকেই মনে করছেন, ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্তরে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ যেন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে, আমেরিকায় হিন্দু ধর্মাচরণের ভিত আরও মজবুত হয়েছে। প্রবাসী হিন্দুরা তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে গর্বের সঙ্গে উদযাপন করছেন, যা দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শকরা। এই সাফল্য প্রবাসী হিন্দুদের একতাবদ্ধ করার পাশাপাশি, তাদের মধ্যে ধর্মীয় পরিচয় ও সাংস্কৃতিক সংহতির অনুভূতি তৈরি করেছে। মার্কিন মুলুকে দুর্গাপুজোর এই বৃহৎ আয়োজন প্রমাণ করে যে, হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতি এখন বিশ্বজুড়ে একটি শক্তিশালী এবং পরিচিত চিহ্ন হয়ে উঠেছে।